হোম /খবর /হুগলি /
ঠিক যেন দুর্গাপুজো, নতুন জামা কাপড় কিনে ৪ দিন ধরে আনন্দে মেতে ওঠে চুঁচুড়া

Hooghly News|| ঠিক যেন দুর্গাপুজো, নতুন জামা কাপড় কিনে ৪ দিন ধরে আনন্দে মেতে ওঠে চুঁচুড়া

X
বাসন্তী [object Object]

Basanti Puja 2023: দেবী দুর্গা সিংহের ওপরে বসে অসুর বধ করছেন, সঙ্গে রয়েছে তার চার ছেলে মেয়ে কার্তিক গণেশ লক্ষ্মীও সরস্বতী। দুর্গাপুজোর আনন্দ যেন ফের ফিরে পায় এই সময় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে চুঁচুড়ার বাসিন্দারা।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

হুগলি: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পুজোই বাঙালির আদি দুর্গাপুজো। যদিও এখন আশ্বিন শুক্লপক্ষের দুর্গাপুজোই বেশি আড়ম্বরে পালিত হয়। পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজা সুরথ বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো নামে প্রসিদ্ধ হয়। দেবী দুর্গার প্রথম পুজোরী হিসাবে চণ্ডীতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে।

এরকম একটি বহু পুরাতন বাসন্তী পুজো চলে আসছে হুগলির চুঁচুড়ার তোলাফটক এলাকায়। এ বছর তাদের পুজো ৬৭ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ঠিক যেভাবে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় সেই রীতিনীতি মেনেই আদ্যা শক্তি মহামায়া আর পূজিত হচ্ছেন এই স্থানে। দেবী দুর্গা সিংহের ওপরে বসে অসুর বধ করছেন, সঙ্গে রয়েছে তার চার ছেলে মেয়ে কার্তিক গণেশ লক্ষ্মীও সরস্বতী। দুর্গাপুজোর আনন্দ যেন আবারও ফিরে পায় এই সময় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে চুঁচুড়ার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতিষ চর্চা শিখতে চান? দেরি না করে শিখে নিন, মালামাল হতে সময় লাগবে না

চারদিন ব্যাপি চলে দেবী দুর্গার আরাধনা। ষষ্ঠী সপ্তমী অষ্টমী নবমী এই দিনগুলিতে নিষ্ঠা ভরে পুজো করা হয় আদ্যা শক্তির। দশমীর দিন শোভাযাত্রা করে গঙ্গাবক্ষে নিরঞ্জন করা হয় দেবীর প্রতিমা। নবমীর দিন হয় কুমারী পুজোর আয়োজন। ঠিক যেমন দুর্গা পুজোতে দেখতে পাওয়া যায় তেমনই বাসন্তী পূজা উপলক্ষে মেতে উঠেন চুঁচুড়ার তোলাফটক এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ এক কোয়া রসুনেই তোলপাড় জীবন! লাল কাপড় মুড়ে শুধু রাখতে হবে বাড়ির 'এই' জায়গায়

পুজোর দিনগুলিতে স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন জামা কাপড় কেনেন। নববস্ত্রে স্থানীয় মানুষরা মেতে ওঠেন উৎসবের আনন্দে। পুজোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও সমাজ চেতনামূলক কাজেও লিক্ত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসন্তী পুজো উপলক্ষে পুজো উদ্যোক্তারা গরীব মানুষদের বস্ত্রদান থেকে শুরু করে রক্তদান শিবির পর্যন্ত আয়োজন করেন।

এ বিষয়ে একজন পুজো উদ্যোক্তা রাজেশ বলেন, চৈত্র মাসের দুর্গাপুজো যেভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে তার সিকি-ভাগ স্বীকৃতি ও পায়নি কিন্তু এই সময়ের দেবী দুর্গার আরাধনা। যদিও পুরান অনুযায়ী দেবীর বোধনের সময়কাল নির্ধারিত করা হয়েছে এই সময়টাই। তবে শরৎকালে রামচন্দ্রের অকালবোধন কেই মানুষজন প্রকৃত দুর্গাপুজো বলে মেনে এসেছে। সেই কারণে বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যেও এই সময়ের বাসন্তী পুজো বা আদ্যা শক্তির এই আরাধনা নিয়ে বিশেষ মাতামাতি থাকে না। গুটি সংখ্যক কিছু পরিবার নিজেদের পারিবারিকভাবে এই পুজো করে। তোলাফটক বারোয়ারি সেই গুটিকয়েক বারোয়ারির মধ্যে পড়ে যারা সার্বজনীনভাবে আদ্যা শক্তির মহামায়ার এই রূপকে পুজো করে আসছেন।

রাহী হালদার

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Hooghly