হুগলি: এলাবাদ নয়, ঐতিহাসিকদের একাংশ বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে জানিয়েছেন ৭০৩ বছর আগে হুগলির ত্রিবেণীতে প্রথম শুরু হয়েছিল কুম্ভ মেলা। পরে কালের নিয়মে অবশ্য সেই রীতিতে ছেদ পড়ে। ধীরে ধীরে এলাহাবাদের কুম্ভই হয়ে ওঠে সারাদেশে প্রধান। তবে সেই পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ফের ত্রিবেণীতে শুরু হয়েছে কুম্ভের পুণ্য স্নান উৎসব। আর সেই উপলক্ষে হুগলির এই পুণ্য তীর্থে উপচে পড়ল লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়।
তিনটি নদীর সংযোগস্থলের জন্যই জায়গাটির নাম ত্রিবেণী। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক পুণ্য তীর্থ। স্থানীয় কিছু গবেষকদের প্রচেষ্টায় আবারও হুগলির বাঁশবেড়িয়ার ত্রিবেণীতে আয়োজন করা হয়েছে কুম্ভ মেলার। কুম্ভের পূর্ণ তিথিতে গঙ্গা স্নান করতে ভিড় করেন সাধু-সন্ত থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।
আরও পড়ুন: হাতির হানা থেকে কীভাবে বাঁচবেন, এঁকে জানিয়ে দিল খুদেরা
এই মেলার পরিচালনা রয়েছে ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালন সমিতি। হোম, যজ্ঞের পর সাধু-সন্তরা নগর পরিক্রমা করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সতীপীঠ থেকে জল এনে মেশানো হয় ত্রিবেণীর নদীর জলে। তারপরই ত্রিবেণী সঙ্গমে শুরু হয় কুম্ভের পুণ্য স্নান। এই বছর এলাহাবাদে কুম্ভ না থাকায় পুণ্যার্থীর সমাগম অনেকটাই বেশি হয়েছে। রাজ্যের সাধারণ পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগা সাধুরাও কুম্ভ স্নান উপলক্ষে এখানে আসেন। মকর সংক্রান্তির পর বিষুব সংক্রান্তির দিন বিশেষ তিথিতে সমস্ত সাধুরা স্নান করতে নামেন। এই স্নানকে ঘিরেই এলাহাবাদে আয়োজিত হয় কুম্ভ মেলা।
ত্রিবেণীর কুম্ভ স্নান পুনরায় চালু হওয়ার পর এটা দ্বিতীয় বছর। গঙ্গার ঘাটের কাছেই বহু নাগা সন্ন্যাসী ও সাধুরা তাঁদের আখড়া করেছেন। স্তত্ৰ পাঠ থেকে সন্ধেয় গঙ্গা আরতি সবই হচ্ছে। গত বছর এর সূচনা হয়। এদিকে আয়োজক কমিটির দাবি, এই বছর কমপক্ষে তিন লক্ষ মানুষ ত্রিবেণীর কুম্ভয় স্নান করবেন।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hooghly