গোঘাট: পরিকাঠামোহীন বিদ্যালয়ে সাপের ভয়ে সিঁটিয়ে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা। ভেঙে পড়ছে কংক্রিট থেকে প্লাস্টারের টুকরো। এদিক ওদিক পড়ে আছে সাপের খোলস। পরিকাঠামো না থাকায় কমছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রি-প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাস হয় একসঙ্গে।
ছাত্র-ছাত্রী বেশি হলে স্কুলের বারান্দায় ক্লাস নিতে হয়। এমনই শিউরে ওঠা ছবি উঠে এসেছে লোকাল ১৮-এর ক্যামেরায়। গোঘাটের নকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানচক গ্রাম। পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির সীমান্তবর্তী এই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৬২ সালে। এই প্রত্যন্ত এলাকার গরিব দিনমজুর কৃষিজীবী এলাকার ছেলেমেয়েরা মূলত এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-ছেলেকে মুখে পলিথিনের ব্যাগ পেঁচিয়ে খুন, পরে আত্মঘাতী বাঙালি ইঞ্জিনিয়র!
কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে কমতে এখন ২৩ জন। তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা অফিস রুমেই ক্লাস নেন একসঙ্গে। স্কুলের শুরু থেকে ছুটি পর্যন্ত একটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের পুরনো বিল্ডিংটি জরাজীর্ণ। সাপ-খোপের আড্ডা পুরনো বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। তারই জেরে এই অবস্থা।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মুখ না খুললেও পরবর্তীতে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে পঠন-পাঠন। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, দ্রুত সমস্যা মেটে না হবে বলে জানানো হয়েছে।' প্রশ্ন উঠেছে এই ভাবেই কি আতঙ্কের মধ্য প্রান্তিক এলাকার স্কুলে চলবে পড়াশোনা ? কতদিনে মিটবে সমস্যা, জানতে চান অভিভাবকরা।
শুভজিৎ ঘোষ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hooghly news, Snake