হোম /খবর /হুগলি /
পথে দুর্ঘটনা, পরীক্ষা কেন্দ্রে অজ্ঞান, তাও কী করে উচ্চ মাধ্যমিক দিল পড়ুয়া

Hooghly News: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, পরীক্ষা কেন্দ্রে অজ্ঞান, তাও কী করে পরীক্ষা দিল পড়ুয়া

X
আহত [object Object]

Hooghly News: এক হার না মানার পরীক্ষার্থীর লড়াইয়ের সাক্ষী রইল হুগলি।

  • Share this:

হুগলি: এক হার না মানার পরীক্ষার্থীর লড়াইয়ের সাক্ষী রইল হুগলি। কাউন্সিলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় দিয়ে পরীক্ষা দিল মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা পরীক্ষার্থী। প্রথম দিনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এক অনন্য নজির করল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সন্দীপ মাঝি।

গতবারের বোর্ড পরীক্ষা কেটেছিল অনলাইনে। প্রথম বার বাবার সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল আলিনগর ইয়াসিন মন্ডল শিক্ষা নিকেতনের ছাত্র সন্দীপ মাঝি। তার উচ্চ মাধ্যমিকের সিট পড়েছিল পুইনান হাইস্কুলে। পথেই ঘটে দুর্ঘটনা। মাথায় চোট লাগে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ায় আগে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। সাত সাতটি সেলাই পরে তাঁর মাথায়। সেই নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছাত্র। এখানেই শেষ নয়। সেখানেও তার পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: তছনছ করবে কালবৈশাখী...? ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সতর্কতা ১২ জেলায়! আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

আরও পড়ুন: টাকা না ভালোবাসা...? কোনটি জীবনে সবচেয়ে বেশি চায় মানুষ? গবেষণায় 'ফাঁস' চমকে দেওয়া উত্তর!

পরীক্ষা কেন্দ্রেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে সন্দীপ৷ তড়িঘড়ি স্কুলের শিক্ষকরা তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে। সেখানে তার সিটি স্ক্যান এমআরআই করিয়ে অবশেষে হাসপাতালেই পরীক্ষা দেয় সন্দীপ।পুইনান স্কুলের শিক্ষক সুবিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছাত্রটি যখন স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসে তখনই তিনি দেখেন তার মাথায় হাতে পায় ব্যান্ডেজ বাধা। শিক্ষকরা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে সে পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা, তখন ছাত্রটি উত্তর দেয় সে পরীক্ষা দেবে। কিন্তু প্রশ্নপত্র পাওয়ার পরই কিছুক্ষণের মধ্যে পরীক্ষার হলেই অজ্ঞান হয়ে যায় পরীক্ষার্থী। তড়িঘড়ি স্কুলের তরফ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে তার এমআরআই সিটি স্ক্যান করানোর পর পরীক্ষার্থী সন্দীপ মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়। কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলে বাড়তি সময় দিয়ে তার পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয় হাসপাতালের মধ্যেই।

এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য মনোজ চক্রবর্তী বলেন, স্কুলের শিক্ষকরা অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছেলেটির প্রথম দিনের পরীক্ষা বাংলা পরীক্ষা ছিল। অনেক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল তার পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অবশেষে পরীক্ষা দিতে পরেছে ছেলেটি।

রাহী হালদার

Published by:Uddalak B
First published: