হুগলি: ৬০ বছর বয়সেও প্রতি দিন আসতেন গঙ্গায় স্নান করতে। কিন্তু তাঁর ভাগ্যে যে এমনটা লেখা ছিল তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি সূর্যপুর আরাজি গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দা ভজন ঘোষের পরিবার। নদী ভালবাসতেন, প্রতি দিন নদীতে স্নান করতে এসে সাঁতরে গঙ্গার এপার ওপার করতেন। আর সেই নদীতেই হল সলীল সমাধি। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের আধিকারিকরা জলে দীর্ঘ খোঁজ খুঁজির পরেও হদিস মেলেনি এখনও।
স্থানীয় সূত্রে খুবর, অন্যান্য দিনের মতো দুপুরবেলা তিনি গঙ্গার ধারে এসেছিলেন স্নান করতে। সঙ্গে এনেছিলেন তাঁর গরুগুলিও। রোজের মতো গরুস্নান করিয়ে গঙ্গায় সাঁতার করে গরু স্নান করাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সাঁতরে একটি গরু ওপারে চলে যায়। গরু আনতে তিনিও নদীর ওই পারে যান। কিন্তু আর ফেরা হয়নি তাঁর।
নদীতে সেই সময় প্রত্যক্ষদর্শী মাঝি জানান, মাঝগঙ্গায় সাঁতার কাটতে কাটতে হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি নৌকা নিয়ে ওই মাঝি তাঁকে খুঁজতে গেলে না দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেন।
আরও পড়ুন: ভয়ানক আগুন হাওড়ার মাছ বাজারে! আগুনে পুড়ে ছাই প্রায় ৫০- ৬০ টি দোকান!
ভজন ঘোষের ছেলে বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই তাঁরা ডিঙি নৌকা নিয়ে নদীতে আসেন। নদীতে বহু খোঁজা হয়। খবর দেওয়া হয় বলাগরথানায়।
আরও পড়ুন: গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক পথচারীর, আহত আরও ১
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বলাগড় থানার পুলিশ সঙ্গে ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি চলে। বিশেষ ডুবুরি টিম এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী লাইফ জ্যাকেট নিয়ে নামে জলে। লাইফ বোট নিয়ে চলেছে তল্লাশি।
গোটা ঘটনায় এলাকার ব্যাপক চাঞ্চল সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন ভজন ঘোষের পরিবারের লোকজন। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।