সমানতালে দুই জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করছেন তিনি । একটায় পজিটিভ চরিত্র, অন্যটায় ভিলেন । দু’টোতেই সমান জনপ্রিয় । শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সিমলি রাহার সঙ্গে একান্ত আড্ডায় সোমাশ্রী ভট্টাচার্য্য ।
প্র: করোনার আবহে শ্যুটিং কেমন চলছে?
উ: শ্যুটিং তো নর্ম্যাল চলছে । তবে হ্যাঁ, অনেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে ।
প্র: দু’টি অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করছ তুমি... কোনটা বেশি কাছের?
উ: হ্যাঁ । ‘করুণাময়ী রানি রাসমণী’ আর ‘কি করে বলবো তোমায়’ দু’টোতেই একসঙ্গে অভিনয় করছি। তবে দিশার থেকে ‘রানি রাসমণী’র প্রসন্নময়ী চরিত্রটা একটু বেশিই কাছের ।
প্র: দু’টি চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির... কখনও মনে হয়নি দর্শকরা মেনে নেবেন কিনা?
উ: মনে হয়, তবে কী জানো দর্শকরা নিজেদের মতো করে বিষয়টা বুঝে নেন । আমরা তাঁদের কাছ থেকে সবসময়ই সাপোর্ট পাই । যখন আমাকে পজিটিভ চরিত্রে দেখছেন, তখন সেটাকে সেই চোখে দেখেন । আবার ভিলেনের চরিত্রেও মেনে নেন ।
প্র: কীভাবে সামলাও দু’টো আলাদা আলাদা শ্যুটিং ?
উ: দু’টো সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের সময় আলাদা থাকে । আর আমাদের ডিরেক্টররাও খুব সাপোর্ট করেন ।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আসা কীভাবে?
উ: ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার ছিলাম । সেখান থেকেই অভিনয়ে আসা । প্রথম সিরিয়াল ‘শুভ দৃষ্টি’ ।
প্র: অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নিলে কেন?
উ: ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল অভিনেত্রী হওয়ার । সেই স্বপ্নটাই পূরণ করতে চেয়েছিলাম ।
প্র: বাড়ির সাপোর্ট পেয়েছিলে?
উ: হ্যাঁ, সব সময় পরিবারের থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি । মা, বাবা, দাদা সবাইকে পাশে পেয়েছি ।
প্র: প্রেম না বন্ধুত্ব?
উ: সবার আগে বন্ধুত্ব ।
প্র: ক্রাশ তুমি খেয়েছ, নাকি অন্যদের খাইয়েছ?
উ: অনেককে ক্রাশ খাইয়েছি । (হাসি)
প্র: স্পেশ্যাল কেউ আছে?
উ: স্টিল সিঙ্গল । (হাসি)
প্র: ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী? (ব্যক্তিগত জীবনে এবং পেশাগত জীবনে)
উ: আরও ভাল ভাল কাজ করতে চাই জীবনে । সবার মন জয় করতে চাই আর দর্শকদের ভালবাসা পেতে চাই আজীবন ।