হোম /খবর /বিনোদন /
আমেরিকার সংস্কৃতি, হলিউডের বিরুদ্ধে জেহাদি বার্তা প্রিয়াঙ্কার

বেড়ে চলেছে জাতিবিদ্বেষ! আমেরিকার সংস্কৃতি আর হলিউডের বিরুদ্ধে জেহাদি বার্তা প্রিয়াঙ্কার

বেড়ে চলেছে জাতিবিদ্বেষ! আমেরিকার সংস্কৃতি আর হলিউডের বিরুদ্ধে জেহাদি বার্তা প্রিয়াঙ্কার!

বেড়ে চলেছে জাতিবিদ্বেষ! আমেরিকার সংস্কৃতি আর হলিউডের বিরুদ্ধে জেহাদি বার্তা প্রিয়াঙ্কার!

ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (Black Lives Matter) আন্দোলনের মধ্যেই ফের বর্ণবৈষম্যের ঘটনা ঘটল আমেরিকায়। শিকার হলেন বিশিষ্ট ইরানিয়ান-আমেরিকান পরিচালক রামিন বাহরানি (Ramin Bahrani)

  • Share this:

#মুম্বই: জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। তবে বর্ণবৈষম্যের ছায়া থেকে বেরোতে পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (Black Lives Matter) আন্দোলনের মধ্যেই ফের বর্ণবৈষম্যের ঘটনা ঘটল আমেরিকায়। শিকার হলেন বিশিষ্ট ইরানিয়ান-আমেরিকান পরিচালক রামিন বাহরানি (Ramin Bahrani)। অ্যাকাডেমি (Academy) ও বাফটা (BAFTA) সম্মানের আলোচনা চলাকালীন একজন পথচারীর কাছ থেকে ভেসে আসে বর্ণবৈষম্যমূলক উক্তি। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আমেরিকার দর্শকমহলে।

ঘটনার কথা বলতে গিয়ে বাহরিন বলেছেন, 'আমি সেই দিন আটালান্টায় ছিলাম। অনেক রাত অবধি আমাদের সে দিন কাজ করতে হয়েছিল। কাজ শেষ করে ফেরার পথেই তাই আমি আমার প্রযোজক আভা দুভার্ন (Ava DuVernay)-এর সঙ্গে কিছু প্রশ্নোত্তর পর্ব নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখনই আচমকা রাস্তা থেকে প্রবল বর্ণবিদ্বেষী কিছু কথা ভেসে আসে।' কিন্তু কে করলেন ওই বর্ণবৈষম্যমূলক উক্তি? বাহরানি বলেন, 'এক পথচারীর তরফ থেকে ভেসে এসেছিল ওই উক্তি। উনি নিজের গাড়ি আমাদের পাশেই পার্ক করেছিলেন। আচমকা আমাকে ও আমার এক সহকারীকে দেখতে পেয়ে বলে বসেন, 'তোমরা দক্ষিণ এশিয়ানরা ভাবো সারা বিশ্ব চালাবে? আসলে তোমরা কিছুই চালাতে শেখোনি। যাও নিজের দেশে ফেরত যাও।' কিন্তু প্রতিবাদ করেননি কেউ? বাহরানি বলেন, ওই গাড়িচালকের বন্ধু ওকে সরিয়ে নিয়ে যান।'

ঘটনার পর শোরগোল পড়ে যায় সারা আমেরিকা সিনেমা-মাধ্যম জুড়ে। বাহরানি অত্যন্ত বিশিষ্ট একজন পরিচালক। তার পরিচালিত দ্য হোয়াইট টাইগার (The White Tiger) আ্যাকাডেমি সম্মানের জন্য শ্রেষ্ঠ স্বাঙ্গীকৃত চিত্রনাট্যের বিভাগে মনোনীত হয়েছে। ফলত তাঁর প্রতি বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অনেকের৷ বিশিষ্ট অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস (Priyanka Chopra Jonas) বলেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি হয়েছে হাজার হাজার অভিবাসীর স্বপ্নের খোঁজে, তাদের কঠিন পরিশ্রমে, তাদের স্বপ্ন, সুযোগ ও চাহিদা পূরণের ইচ্ছেয়। কে এখানকার আর কে এখানকার নয় সেটা কে ঠিক করে দেবে? আমেরিকা কি প্রত্যেক ভাষাগোষ্ঠীর, প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর জন্য সমান নয়?' এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, 'আজ রামিনের সঙ্গে যা হয়েছে, তা প্রমাণ করে আমরা আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, এবং আমাদের আরও কতটা কাজ করে যেতে হবে। হলিউড যে ধরনের কাজ করে তা সারা পৃথিবী জুড়ে স্বীকৃত। অতএব হলিউড ও পপ সংস্কৃতিকে দায়িত্ব নিতে হবে বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার।'

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Priyanka Chopra Jonas