#কলকাতা: লকডাউন ওঠার পর থেকে ধীরে ধীরে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিমান পরিষেবাও পুরোদমে শুরু হয়েছে। তবে, সংক্রমণ কিন্তু পিছু ছাড়েনি। বর্তমানে, অনেকেই প্রয়োজনে এক শহর থেকে অন্যত্র যাতায়াত করছেন। সেন্টার ফর ডিজিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর তরফেও সম্প্রতি জানানো হয়েছে, ভ্রমণের জেরে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। এক্ষেত্রে অনেক মৃদু ও উপসর্গহীন রোগীদেরও যাতায়াত লেগে থাকে বিমান বন্দরে। যা প্রবেশ দ্বারে নির্ণয় করা মুশকিল। তবে বিমানগুলিতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রয়েছে যথাযথ ভেন্টিলেশন সিস্টেমও। তবুও আমাদের সচেতন হওয়াটা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে বিমানে যাত্রাকালে নজর দিতে এই বিষয়টিতে -
অল্প দূরত্বে যাত্রা করলে ভালোএই সংক্রণের সময় প্লেনের মধ্যে যত বেশি সময় কাটাবেন, সংক্রমণের সম্ভাবনা ততটা বেশি। যদি যাত্রাসময় দীর্ঘ হয়, তাহলে কানেক্টিং ফ্লাইট নিতে পারেন। এতে হাওয়া বদলের সুযোগ থাকবে। সবচেয়ে ভালো, কম সময়ের অর্থাৎ ২-৩ ঘণ্টার যাত্রা করা।
এয়ারপোর্ট যাওয়ার সময় সমস্ত দিক খেয়াল রাখতে হবেএয়ারপোর্ট যাওয়ার সময় নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, আপনার গাড়ির চালক বা বাড়ির যারা ছাড়তে যাচ্ছেন, তাঁরা মাস্ক পরেছেন কি না।যাত্রাকালে মাস্কের যথাযথ ব্যবহারমাস্ক এমনভাবে পরা উচিত, যাতে নাক ও মুখ ঢাকা থাকে। তাই যাত্রাকালে ভালো করে মাস্ক পরা উচিত। থ্রি লেয়ার মাস্ক হলে সবচেয়ে ভালো হয়।ফেস শিল্ডের ব্যবহারএমরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের ড. হেনরি ইউ জানাচ্ছেন, যদি সংক্রমণ এড়াতে চান, তাহলে প্লেনে উঠলেই ফেস মাস্কের উপর ফেস শিল্ড পরাটা খুব জরুরি।প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম নেওয়াটা জরুরিএই সংক্রমণের সময় প্লেনে ওঠার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি ব্যাগের মধ্যে গুছিয়ে নিতে হবে। রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডিসইনফেক্টিং ওয়াইপ। প্লেনে ওঠার পর সিট, সিট বেল্ট আর্ম রেস্ট সমস্ত কিছু স্যানিটাইজ করে নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে নিজের ব্ল্যাঙ্কেট বা বালিশ নিয়ে নিতে হবে।সিটে বসে থাকাই শ্রেয়প্লেনে ওঠার পর নিজের সিটে চুপটি করে বসে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ সিট থেকে উঠে গিয়ে প্লেনের মধ্যে এদিক-ওদিক ঘুরলে, অন্যযাত্রীদের সংস্পর্শে এলে কিংবা বাথরুমে গেলে, সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।কোয়ারানটিন আবশ্যকগন্তব্যে পৌঁছানোর পর কমপক্ষে দেড় সপ্তাহ কোয়ারানটিনে থাকা উচিত। মাথায় রাখবেন, এতে আপনার সঙ্গে আপনার আশপাশের মানুষজনের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হবে।