#মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর আগে থেকেই দেশ শুধু নয় গোটা পৃথিবীতে হানা বসায় করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। এখনও কোনও সঠিক ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। মানুষকে সতর্কতা মেনেই বেরোতে হচ্ছে বাড়ির বাইরে। তবে দেশে ভাইরাস আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের সরকার লকডাউন চালু করে দেয়। রাতারাতি বন্ধ হয়ে যায় বাস, ট্রাম, ট্রেন, বিমান। অফিস, কলকারখানা প্রায় সব কিছুই। মানুষকে গৃহবন্দি করে ফেলা হয়। সংক্রমণ ঠেকাতে এছাড়া অন্য রাস্তা খোলা ছিল না। তবে এই লকডাউন শুরু হওয়ায় সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ে যায় দেশের পরিযায়ী শ্রমিকরা।
তাঁরা চিন্তায়, আতঙ্কে, কাজ হারিয়ে ফিরতে চায় নিজের রাজ্যে। কারণ ভিন রাজ্যে কাজ না থাকলে, থাকার জায়গা, খাবার সব কিছু অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সংসার ও পরিজনকে বাঁচাতেই রাস্তায় নেমে পড়ে গোটা ভারতবর্ষ। সে এক ভয়াবহ সময়। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকেও বেগ পেতে হয়। সে সময় বলিউডের অনেকেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। তবে বেশিরভাগরাই থেকেছেন মুখ ঘুরিয়ে। হৃতিক রোশন, অক্ষয়কুমারের মতো কিছু মানুষ সাময়িকভাবে শ্রমিকদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। তবে ত্রাতার ভূমিকায় নেমে এসেছিলেন সোনু সুদ।
তিনি নিজের চেষ্টায়, নিজের টাকায় হাজার হাজার শ্রমিককে বাড়ি ফিরিয়েছেন। খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। দেশের যেকোনও প্রান্তে আটকে থাকা মানুষ তাঁর কাছে সাহায্য চাইলেই তিনি এগিয়ে এসেছেন। বা তাঁর কানে অসহায় মানুষের খবর পৌঁছনো মাত্রই তিনি সাহায্য করেছেন। শুধু পরিযায়ী শ্রমিক নয় এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে কষ্টে থাকা মানুষের জন্য নিজের হাত বাড়িয়েই রেখেছিলেন তিনি। তবে সে সময় বলিউডের আজকের যারা চর্চায় রয়েছেন তাঁদের কিন্তু মুখ দেখা যায়নি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর সারা বলিউড ভুলতে বসে দেশের হাজার হাজার মানুষের কথা। তখন আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বলিটাউনের জট। সুশান্তের মৃত্যু আজও মানা যায় না। তাঁর মৃত্যু রহস্যর সঠিক তদন্ত হোক, আসল সত্যি যদি কিছু থাকে তবে তা সামনে আসুক। এমনটা গোটা দেশ চেয়েছে। এই সময় সুশান্তের হয়ে সব থেকে বেশি কথা বলেন, কঙ্গনা রানাওয়াত। বলিউডের মাদকচক্র, নেপোটিজমের মতো বিষয়গুলোকে সামনে এনে বলিটাউনের সলমন খান গ্যাং, করণ জোহর, ,মহেশ ভাটের মতো অনেকের নামই তিনি তুলে ধরেন। এর পর বেশ কতগুলো মাসে সুশান্তের মৃত্যু রহস্য মোড় বদলেছে। গ্রেফতার হয়েছেন সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া। মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বেড়েছে কঙ্গনার বচসা। মোট কথা করোনা, দেশের মানুষের চরম খারাপ অবস্থার কথা ভুলে বলিউড ব্যস্ত নিজেদের ঝামেলায়। কঙ্গনা একের পর এক ব্যক্তিকে নানা কারণে দোষারোপ করে চলেছেন। সোনম কাপুর, উর্মিলা মাতন্ডকর, রবীনা ট্যান্ডন, দিয়া মির্জা, পুজা ভাট, আলিয়া ভাট, সলমন খান, আমির খান সকলকেই দোষারোপ করা হয়েছে।
जितनी ताक़त लोग अपने जीवन में दूसरों को गिराने में लगाते हैं .. उतनी ताक़त अगर उन्हें उठाने में लगा दें तो देश रातों रात बदल जाएगा।
— sonu sood (@SonuSood) September 17, 2020
इज़्ज़त कमाने निकलना। मशहूर होने नहीं। मशहूर तो बहुत से लोग हैं जो अब कभी इज़्ज़त नहीं कमा पाएँगे।
— sonu sood (@SonuSood) September 16, 2020
এর পর শুরু হয় অন্য এক খেলা একে অপরকে কাদা ছুঁড়তে থাকেন বলি সেলেবরা। যা এখনও চলছে। এই গোটা সময়টায় চুপচাপ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন এক মাত্র সোনু সুদ। সেই সোনু সুদও এবার বলিউডের এই জঘন্য রূপের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তিনি ট্যুইট করে লিখলেন, " যতটা শক্তি মানুষ অন্যকে ছোট করতে কাজে লাগায়, তার একটুও যদি অন্যকে সম্মান দেওয়াতে কাজে লাগাত, তাহলে রাতারাতি বদলে যেত দেশ।" এর পর সোনুর ভক্তরা তাঁকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন এই বক্তব্য কি তিনি কঙ্গনা ও বলিউডের জন্যই বলেছেন? তাতে অন্য ভক্তকে লিখতে দেখা যায়, " না হলে আর কার জন্য। একমাত্র বলিউডই এখন একে অপরকে ছোট করার কাজ করছে।" যদিও সোনু এর কোনও উত্তর দেননি। তবে তিনি আরও একটি ট্যুইট করেন, "সম্মান অর্জন করতে বেরোবেন। বিখ্যাত হতে না। বিখ্যাত তো অনেকেই, যারা আর কখনও সম্মান পাবে না।" সোনুর এই ট্যুইটে স্পষ্ট তিনি বলিউডের এই নক্কারজনক ঘটনাকেই বলেছেন। ট্যুইটারে অনেকেই বলেছেন, " আপনি সবার থেকে আলাদা।"