#পুরুলিয়া: হীরক রাজার দেশের গল্প বুকে নিয়ে জয়চণ্ডী। অভিযানের সাক্ষী মামা-ভাগ্নে পাহাড়। পুরুলিয়া-দুবরাজপুরের একটাই প্রার্থনা। সেরে উঠুন সৌমিত্র। ফিল্মে তাঁর দীর্ঘ কয়েক দশকের অভিযান... বারবার তিনি মুগ্ধ করেছেন। যখন যে চরিত্রে, তখন সেই চরিত্র হয়ে উঠেছেন। দাগ কেটে গিয়েছেন। বীরভূমের দুবরাজপুর আজও তাঁকে বুকে করে রেখেছে। এই দুবরাজপুরেই যে তাঁকে প্রথম সামনে থেকে দেখা। সৌজন্যে সত্যজিতের অভিযানে তিনি বদমেজাজি ট্যাক্সিচালক নরসিং।
শান্তিনিকেতনের ভিড় নেই। দুবরাজপুরে মামা ভাগ্নে পাহাড়ে নির্জনতা কথা বলে। এই শহরই সত্যজিতের সৃষ্টিতে। সৌমিত্রের অভিযানের সাক্ষী। দুবরাজপুরে মামা-ভাগ্নে পাহাড়। আর পুরুলিয়ায় জয়চণ্ডী। পুরুলিয়ার এই পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে উদয়ন পণ্ডিতের স্মৃতি। হীরক রাজার দেশের গল্প। সকলের এখন একটাই প্রার্থনা। সেরে উঠুন সৌমিত্র।
এদিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। সোমবার হাসপাতাল সূত্রে আরও জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত সৌমিত্রের প্রস্টেট ক্যানসার নতুন করে ছড়িয়েছে তাঁর ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। তাঁর মূত্রথলিতেও সংক্রমণ ঘটেছে। ফলে ৮৫ বছরের অভিনেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ফের নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে করোনা সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত মঙ্গলবার। সোমবার রাতেই তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। শুক্রবার থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি হয়। ফলে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার-পরিজন থেকে তাঁর কর্ম জগত এবং অসংখ্য অনুরাগী অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
বেলভিউয়ের ১০জন চিকিৎসক এবং কলকাতার অন্য সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে আরও ৬ জন চিকিৎসক মিলিয়ে মোট ১৬ জনের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। তবে সোমবার সকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়েছে। আগে যেখানে তাকে প্রতি মিনিটে ১৬ লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল, সেটা কমে মিনিটে ১০ লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। সৌমিত্রবাবুর আচ্ছন্ন ভাব না কাটায় চিকিৎসকরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। একসঙ্গে তিনি বিড়বিড় করছে অর্থাৎ ভুল বকছেন, অনিয়ন্ত্রিত হাত-পা ছুড়ছেন। যা এখন সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। এছাড়াও নতুন করে আবারও জ্বর আসায় চিন্তিত চিকিৎসকরা।