শর্মিলা মাইতি
#মুম্বই: পিঙ্ক না ইন্দু সরকার? এই প্রশ্নটাই সবার আগে জাগবে মনে। কিন্তু কীর্তি কুলহারি এমন এক অনন্যা অভিনেত্রী, যাঁকে কোনও নির্দিষ্ট ক্যাটেগরিতে ফেলা যায় না। এখনও বলিউড তাঁকে পূর্ণরূপে, পরিপূর্ণ মর্যাদায় ব্যবহার করতে পারেনি। তাঁর অনুসন্ধিতসু চোখ, দৃঢ়সঙ্কল্প চিবুক, সরল হাসি এখনও অনেক প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষমান। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তার সামান্যই উন্মোচন করতে পেরেছে।
"ইন্দু সরকার আমাকে অনেকটা সুযোগ দিয়েছিল নিজেকে মেলে ধরার। অনেক পরিশ্রম, পড়াশোনা, মানসিক গঠনেরও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। কিন্তু পিঙ্ক আমার নারীসত্তা। এত শক্তিশালী একটা স্ক্রিপ্ট সত্যি এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। আমরা মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই কত কিছু মেনে নিই যুক্তিতর্কের ধার না ধেরে। আমাদের সমাজই স্থির করে দেয় মেয়েরা কেমন হবে, কী করবে না করবে। এমন কিছু ভাবনা উস্কে দিয়েছিল 'পিঙ্ক' যার রেশ আজও থেকে গেছে মনে।" বললেন কীর্তি। ক্রিমিনাল জাস্টিস সিরিজে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে অভিনয় করলেন। ওটিটি দুনিয়ায় অধীশ্বর হয়ে উঠেছেন তিনি। কেমন লাগল তাঁকে? "অতি সাধারণ ভদ্রলোক। অত্যন্ত অমায়িক। পঙ্কজজির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেও অনেক কিছু শেখা যায়। আশা করি এটাই শেষ নয় আরও কাজ করতে পারব ভবিষ্যতে। " বললেন কীর্তি। আপনি এমন একজন অভিনেত্রী যাঁকে এমন চরিত্র অফার করা হয় যে সাধারণও নয় আবার অসাধারণও নয়। কাহিনি যত এগোয়, তত তার মোড়ক খোলে... "সত্যি! আমি ভাগ্যবতী!" বললেন কীর্তি, "প্রতিটি চরিত্র যেন এমন পাই যাতে নানারকম নারীকে তুলে আনতে পারি পর্দায়। মেয়েরা ইমোশনাল। মেয়েদের শারীরিক গঠন, বৃদ্ধি, হরমোন ক্ষরণ এসবের মিলিত প্রভাব আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। যখন অভিনয় করি, এ সব কিছু নিয়েই ভাবি।" ইভ-টিজারদের কী ধরনের শাস্তি হওয়া উচিত? "সরু লাঠি পাওয়া যায় না? যেগুলো দিয়ে সপাত সপাত করে মারলে প্রচণ্ড জোরে লাগে? সেই রকম লাঠি দিয়ে আচ্ছা করে পেটান উচিত, যাতে ভুলেও মেয়েদের ত্রিসীমানায় না আসতে পারে! " বললেন কীর্তি। হাসিমুখে নয়। বেশ গম্ভীরভাবেই।