#মুম্বই: পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে অভিনযে গ্র্যাজুয়েট, এই মুহূর্তে খুব কম বলিউড অভিনেতা গোত্রের এই ডিগ্রি আছে. পাতাললোকের হাতিরাম চৌধুরী জয়দীপ আহলাওয়াত এত দিন, এত সম্ভাবনা, এত গুণ নিয়েও কীভাবে আড়ালেই থেকে গিয়েছিলেন, সেটাই রহস্য শর্মিলা মাইতির সঙ্গে ভার্চুয়াল চ্যাটে বসলেন মুম্বই থেকে ইন্টারভিউতে যা তথ্য বেরিয়ে এল, না জানলে অনেকটাই অজানা থেকে যাবে অধুনা বলিউডের ৷ বলিউড ড্রিমস বলতে যা বোঝায়, সেই স্বপ্ন থেকে অনেক দূরের মানুষ তিনি। পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট পাস-আউট জয়দীপ অভিনয়ের শিল্প স্বীকৃতিকেই বেশি সম্মানের চোখে দেখেন। বাহ্যিক চাকচিক্যের বাইরের বর্ণময়তা অনেক বেশি আকর্ষণীয় তাঁর কাছে। এই মুহূর্তে অ্যামাজন প্রাইমে সবচেয়ে বেশি দেখছেন দর্শক তাঁরই ছবি। প্যানডেমিকের সময়ে যখন হোম এন্টারটেনমেন্ট টাই সম্বল, যখন বিপুল দর্শক হামলে পড়ে দেখছেন ওয়েব সিরিজ, তখনই নতুন করে প্রাণ পেলেন জয়দীপ আহলাওয়াত। এতদিনের পার্শ্ব অভিনেতা হঠাৎ সবাইকে ছাপিয়ে এক্কেবারে প্রথম সারিতে। আপনার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে। যতদূর মনে আছে, আপনার সঙ্গে বাংলায় কথা হয়েছিল। হরিয়ানায় থেকে বাংলা বলতে শিখলেন কীভাবে? " পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে একটা অলিখিত নিয়ম আছে। এখানে প্রায় পঁয়তাল্লিশ পার সেন্ট বাঙালি। তাই বাংলা বলতে অনেকেই শিখে যায়। আমরা গালাগালিটাও শিখে নিয়েছিলাম। " নিজের বাড়িতে বসে বললেন জয়দীপ। গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর ছবিতে তাঁকে আবিষ্কার করেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। " অনুরাগ কাশ্যপের কাছে আমি চিরঋণী। উনি সুযোগটা দেওয়ার পরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অফিশিয়াল এন্ট্রি হয়েছিল। আমি কল পেতে শুরু করেছিলাম।" হাতিরাম চৌধুরীর চরিত্রটা পাওয়ার পর প্রস্তুতি পর্বে বাবাকে ভাল করে অবজার্ভ করেছেন। মধ্যবিত্ত বাবার জীবনের জয়-পরাজয়। অন্নসংস্থানের নিরন্তর চেষ্টা, পরিবারকে একটু ভাল রাখার জন্য ওভারটাইম। "বাবা আমার আইডল। বাবার সংগ্রামটাই আমার জীবনসংগ্রামের পাথেয়। হাতিরাম চৌধরীর এই সাধারণ জীবনযাপন, স্ত্রীর সঙ্গে খটাখটি, ছেলের চাহিদা, সামান্য পুলিশের চাকরি সব মিলিয়ে একটা চিত্র মনের মধ্যে গেঁথেছিল যাকে শুধু পর্দায় বিশ্বাসযোগ্য করে তুললেই হবে না। অসংখ্য এমন মানুষের মনস্তত্ত্বে পৌঁছতে হবে। ওয়েব সিরিজ সবার মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এটা মাথায় ঘুরছিল সব সময়ে। " কখনও মনে হয়েছে যে প্রযোজকরা আরও একটু বেশি ভাবতে পারতেন আপনার ব্যাপারে? পরিচালকেরা আপনাকে আরও একটু বেশি ডাকতে পারতেন। "একজন ক্ষুধার্ত অভিনেতা সব সময়েই বেশি কাজ চায়। আমি ব্যতিক্রম নই। প্রত্যেক পরিচালক আমায় নিয়ে ভেবেছেন ও ভাবেন বলেই আমায় ডাকেন। আমার কাজের প্রশংসা সবসময়েই পেয়েছি তাঁদের কাছে। সবচেয়ে বড় কথা সব ধরনের চরিত্র পেয়েছি, অভিনয় জীবনে এর চেয়ে বড় পূর্ণতা আর কিছু হতে পারে না। " রাজি হোক বা বাগী থ্রি, আপনার অভিনয় দক্ষতা অনবদ্য। কিন্তু সেভাবে মিডিয়ার সাহচর্য আপনার পাশে কখনও নেই, যতটা আছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি কিংবা রাজকুমার রাও পেয়েছেন! "এই ইন্ডাস্ট্রিতে খ্যাতি ব্যাপারটা একটা বাইপ্রোডাক্ট। সময়ের সঙ্গেসঙ্গে আসে, সময় ফুরোলে চলে যায়। ক্ষণস্থায়ী কোনও কিছুতেই আমার বিশ্বাস নেই। দর্শক ভাল অভিনেতাকে এমনিই মনে রাখে, সেজন্য কত পুরস্কার পেয়েছি তার প্রমাণ দিতে হয় না। সময়ই বলে দেবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bollywood