হোম /খবর /বিনোদন /
ঘরবন্দিতে শিল্পীরা কীভাবে কাজ করবেন, এবার সেটাই প্রমাণ হবে: বিক্রম ঘোষ

ঘরবন্দিতে শিল্পীরা কীভাবে কাজ করবেন, এবার সেটাই প্রমাণ হবে: বিক্রম ঘোষ

বড় ছেলে অসমে পড়াশোনা করার কারণে সেখানে মামার বাড়িতেই রয়ে গিয়েছে। কলকাতায় ফেরা হয়নি। সেটা খানিকটা হলেও মন খারাপের কারণ বিক্রমের।

  • Share this:

#কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ছাড়া যে এই মুহূর্তে আর কোনও রাস্তা নেই সেটা বেশ পরিষ্কার সবার কাছে। তবুও প্রয়োজন আরও অনেক বেশি সচেতনতা। আর সেখানে দাঁড়িয়েই এবারে একটি শর্ট ফিল্ম তৈরি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের কনসেপ্টে তৈরি হচ্ছে ছবি যা পরিচালনা করেছেন অরিন্দম শীল। ইতিমধ্যেই ছবির শুটিং এবং এডিট শেষ হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে এই ছবির সঙ্গীত যার দায়িত্বে বিক্রম ঘোষ।

পুরো বিষয়টাকে কী ভাবে দেখছেন তিনি? "এটা একটা দারুন উদ্যোগ। মানুষের সচেতনার কথা ভেবে একটা শর্ট ফিল্মের আইডিয়া খুবই ভাল। এটা একটা চ্যালেঞ্জ যে বাড়িতে থেকেই এই পুরো প্রজেক্টের কাজটা সম্পূর্ণ হবে। এই হাত পা বাঁধা অবস্থায় কী তৈরি হতে পারে সেটাই এবার প্রমাণ হবে। আমি সত্যি খুবই থ্রিলড এইরকম একটি প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পেয়ে।" জানান বিক্রম।

কিন্তু ঠিক কি ধরণের মিউজিকের কথা ভেবেছেন তিনি? "ছবিটা এডিট হয়ে গিয়েছে এবারে আমার কাছে এলেই আমি পুরো ছবিটা দেখেই ঠিক করতে পারবো কী ধরণের স্কোর এখানে মানাবে।  কারণ এটা একটা গম্ভীর বিষয়। অরিন্দম এটাকে অনেকটা সিরিয়াস নোটে বানিয়েছেন নাকি অনুপ্ররণামূলক সেটা দেখে আমাকে সঙ্গীত পরিচালনা করতে হবে।"

কিন্তু লকডাউনের এই অবস্থায় সব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা বা শিল্পীদের একত্রিত করাটা কতটা সম্ভব বলে মনে করছেন সুরকার? বিক্রমের মতে "আজ যেখানে আমরা প্রযুক্তিগত ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছি সেখানে সবই সম্ভব।  সেতার, সরোদ, চেলো, ভাওলিন, তবলা সবই পসিবল। আমি যেভাবে চাইবো  সেই ভাবেই আমাকে রেকর্ড করে পাঠানো হবে। তারপরে তার প্রোগ্রামিং হবে। ক্লিক ট্র্যাক পদ্ধতিতে আজকাল সবই সম্ভব।স্টুডিও রেকর্ডিং এর ৩০% মাত্র সাউন্ড ক্যাপচার হবে কিন্তু সেটার ওপরেও কাজ করা সম্ভব।"

তবে লকডাউনের এই পরিস্থিতেও নিজেকে বেশ ব্যস্ত রেখেছেন বিক্রম ঘোষ। অনলাইনে বেশ কয়েকটি ভিডিও তার ইতিমধ্যেই ভাইরাল। তবে এই সময় নিজেকে অনেক বেশি পসিটিভ রাখার চেষ্টা করেন তিনি। কারণ তিনিও ভালো মতন জানেন এই লড়াই বাড়িতে থেকেই লড়তে হবে।পরিবারে স্ত্রী জয়া এবং ছোট ছেলেকে নিয়েই এখন সারাদিন নানারকম ভাবে কাটে তাঁর। বড় ছেলে অসমে পড়াশোনা করার কারণে সেখানে মামার বাড়িতেই রয়ে গিয়েছে। কলকাতায় ফেরা হয়নি। সেটা খানিকটা হলেও মন খারাপের কারণ বিক্রমের। তবে তাঁর মতে সব বিপদ কাঁটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াবে গোটা বিশ্ব। তবে করোনা প্রতিষেধক বেরোলে সেটা দারুন একটা ব্যাপার হবে। আর কোনও  ভয় থাকবেনা সেক্ষেত্রে।

Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: Coronavirus, Lockdown