#কলকাতা: আবৃত্তির জগতে ছন্দপতন। প্রয়াত বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বেশি কিছুদিন ধরে নানা রকম অসুখে ভুগছিলেন শিল্পী। কয়েকদিন আগেই, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হন তিনি। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গৌরী ঘোষ। অবস্থা ছিল বেশ সংকটজনক। তাই শিল্পীকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে।
বুধবার রাত থেকেই গৌরী ঘোষের অবস্থার অবনতি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে লড়াই থামে তাঁর। সকাল ৮.৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গৌরী ঘোষের মৃত্যুতে সংস্কৃতি জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গৌরী ঘোষের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আকাশবানীতে রেডিও উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছিলেন গৌরী ঘোষ। বহুদিন যুক্ত ছিলেন রেডিওর সঙ্গে। 'কর্ণকুন্তী সংবাদ'-এ গৌরী ঘোষ ও পার্থ ঘোষ ছিলেন বাঙালি শ্রোতার কাছে এক অতি পছন্দের জুটি। একসঙ্গে বহু কাজ করেছেন তাঁরা। দুজনেই বহু দিন আকাশবাণীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গৌরী ঘোষকে কাজী সব্যসাচী সম্মানে ভূষিত করেন।
বাচিক শিল্পী জগন্নাথ বসু শোক প্রকাশ করেছেন গৌরী ঘোষের মৃত্যুতে। তিনি বলছেন, "গৌরী ঘোষের চলে যাওয়াটা আমাদের কাছে পারিবারিক শূন্যতা। আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একদিকে আমরা জগন্নাথ বসু-উর্মিমালা বসু, অন্যদিকে ছিলেন পার্থ ঘোষ-গৌরী ঘোষ। একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আমাদের মধ্যে কোনও ঈর্ষা নেই? আমি বলেছিলাম ঈর্ষা? আমাদের মতো ভালোবাসা কজন বাসতে পেরেছেন। আমার নিজের দিদির মতো ছিলেন। গৌরীদিকে হারানোর কথা ভাবতে পারছি না।"
বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, "একটা স্বর্ণযুগের অবসান। আমরা যখন ছোট তখন থেকেই পার্থদা গৌরীদি এবং জগন্নাথদা উর্মিদিকে দেখেই অনুপ্রাণিত। তাঁদের দেখেই এই পেশা, এই নেশা এবং সেই দেখানো পথেই এতটা পথ চলেছি। গৌরীদির সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। আমার বাবা মার সঙ্গে পার্থ দা গৌরীদি যুক্ত ছিলেন। এটা পারিবারিক বিয়োগ। আমরা আবৃত্তির পরিবারে গৌরীদিকে মায়ের মতো দেখতাম। তাঁরা সকলে একসঙ্গে মাতৃহারা হলেন। মহামারীতে খোঁজ নিয়েছেন।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।