#মুম্বই: এ নারীর বয়স বোঝা দায়! টান-টান শরীর ও ত্বক। ঝকঝকে তকতকে ঊজ্জ্বল। সোজা মেরুদন্ড। পটলচেরা চোখ। গালভরা হাসি। শিল্পা শেট্টির বয়স বোঝার চেষ্টাও করবেন না! প্রতি গুনতিতেই ভুল হবে, গুগল যদি না শুধরে দেয়।
সদ্য তিনি রেস্তোরাঁ খুললেন ওরলিতে। "এত সুন্দর মনোরম, নয়নাভিরাম ঐতিহ্যবাহী কারুকাজ, না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। অনেক খুঁজে এই জায়গাটা পেলাম। মনের মতো সময় কাটানো আর মনের মতো খাওয়া দাওয়া!" বলেছেন শিল্পা শেট্টি।
আজ যোগ ব্যায়ামে একটা ছোটখাটো বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন তিনি! ইউটিউব আর অ্যাপে শিল্পা শেট্টির যোগাসন কোটি কোটি মানুষ ফলো করছেন। কিন্তু শিল্পার শুরুটা ছিল অদ্ভুত। "কোনওদিন মাথাতেও আসেনি ২৭ বছর পর কী করব। সেই দুষ্টুমির দিনগুলো আজও মনে পড়ে। আশ্চর্য হই, আমি এখনও বেঁচে আছি। সগৌরবে। আসলে আফটার অল, আমি হলাম শেট্টি। ব্যবসা তো কখনও না কখনও করবই। "
আপনার ডায়েট আর যোগাসনের চার্ট লোকে জানতে চায়, কিন্তু আপনার সবচেয়ে বড় অজানা বিষয় হল আপনার অতীত। সেই চেম্বুরের ছোট্ট মেয়েটার কথা! "হ্যাঁ, সেই মেয়েটা ট্রেনে চড়ে মুম্বই আসত চাইনিজ খেতে। বাবা-মায়ের কাছ থেকে ১০০ টাকা চেয়ে নিত। মুম্বইয়ের একটা রেস্তরাঁয় ওই টাকায় চাইনিজ পাওয়া যেত। এখনও স্বাদ মুখে লেগে আছে। আসলে বাবা মা আমাকে ছোটবেলা থেকেই ভ্যালু ফর মানি ব্যাপারটা শিখিয়েছিলেন। ১০০ টাকা তখনকার দিনে অনেক টাকা। তাই ব্যালেন্স করার জন্য ট্রেনে যাতায়াতের রাস্তা বের করেছিলাম। আমার এক বছরের মেয়ে আর পাঁচ বছরের ছেলে সেটা বুঝবে কি না জানি না! " মন খুলে হাসলেন শিল্পা।
বলিউড সত্যি আপনার প্ল্যান ছিল না। "ভলিবল খেলতাম স্কুল লাইফে। স্টেট লেভেলেও খেলেছি। খুব নাম করেছিলাম স্কুলে। চ্যাম্পিয়ন বলত সবাই! আমার চেহারার মধ্যেও অভিনেত্রী হওয়ার মতো কিছু ছিল না। মনেও বাসা বাঁধেনি। খুব সাধারণ দেখতে ছিলাম। কিন্তু একবার স্কুলে এক বিদেশী ফোটোগ্রাফার এলেন কী কারণে মনে পড়ছে না। তিনি আমাকে দেখে বার বার বললেন ফোটোশুট করতে। ওঁরই রেকমেন্ডেশনে আমি শুরু করলাম। বাকিটা ইতিহাস। "
ছোট্ট করে শেষ করলেন শিল্পা। সত্যি। ওই বলিউড পেরিয়ে একটা স্বতন্ত্র সত্তা তৈরির কাহিনিও বেশ লম্বা ইতিহাস।
শর্মিলা মাইতি