#মুম্বই: দিন বদলেছে। পৃথিবী বদলেছে। বদলে গেছেন ডিম্পল কাপাডিয়াও। সেই নিষ্পাপ সুন্দর গোলাপসম কিশোরী ববি আজ জীবনের গোধূলিবেলায়। সমুদ্রের মতো চুলে রুপোলি ঢেউ। মুখশ্রীতে তৃপ্তির বলিরেখা। আর কদিন পরেই আসছে 'তাণ্ডব'। অ্যামাজন প্রাইমে। ট্রেলার মুক্তির দিনে তিনি এলেন ভার্চুয়াল আড্ডায়। বসেছেন তাঁর বাড়ির লিভিং স্পেসে। উপরে সুদৃশ্য ঝাড়লণ্ঠন। পেছনে বিশাল ডাইনিং টেবিল ঝকঝকে তকতকে, সাজানো। ফুলদানিতে সাদা ফুলের ঝাড়। দেখে মনে হল, নিয়মের এতটুকু বিচ্যুতি নেই কোথাও।
কদিন আগেই ক্রিস্টোফার নোলানের 'টেনেট' ছবিতে মন জয় করেছেন সারা পৃথিবীর দর্শকের! অনেকে তো বলছেন, আপনার মতো এক প্রাণবন্ত অভিনয় এর আগে কোনও ভারতীয় অভিনেত্রী করতে পারেননি...
হাসলেন ডিম্পল। বিগলিত নয়, পরিমিত হাসি। "যাঁরা বলছেন তাঁদের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁরা অত্যন্ত সহৃদয় বলেই আমার অভিনয় ভাল বলেছেন। তুলনা করার দরকার নেই। মনের মতো চরিত্র পেয়েছি এটা সৌভাগ্য আমার। "
কিন্তু তাণ্ডব সিরিজে যে সম্পূর্ণ অন্য রূপ দেখা গেল আপনার। জটিল চরিত্র। মাতৃত্ব এত কঠিন হতে পারে! "রাজনীতি যে পরিবারের অন্তস্তলে বইছে, সে পরিবারের নিয়ম, নীতি, মানুষগুলোও তো আর সাধারণ মানুষের মতো হবে না। আমার চরিত্রের নাম অনুরাধা, সে সাধারণ মা নয়। ক্ষমতার লোভ, পরিবারকে ধরে রাখার তাগিদে সে যা যা সিদ্ধান্ত নেয়, যথার্থ মাতৃসুলভ নাও মনে হতে পারে। কিন্তু আমি পুরোপুরি মন দিয়েছিলাম অনুরাধার মনস্তত্ত্ব বুঝতে। সে ভাল না খারাপ বিচার করতে নয়। আলি আব্বাস জাফর যখন চরিত্রটা আমার কাছে নিয়ে আসেন তখনই স্থির করে ফেলেছিলাম এটা করবই। " বললেন ডিম্পল।
লকডাউনে যখন বেশির ভাগ নামী অভিনেতা অভিনেত্রীর হাতে কাজ নেই, তখন আপনি জীবনের সেরা কাজগুলো পাচ্ছেন! "লকডাউন মানে তো বন্দিত্ব। এই বন্দিদশা নিজের সঙ্গে কথা বলতে শেখায়। বলিউডে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে এমনটা নয়। এটা বললে খুব সরলীকরণ হবে। এই বন্দিত্ব বলিউডকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। একদিক বন্ধ হলে অন্য দিক খুলে যাচ্ছে। এই লকডাউনে বাস্তব জীবনেও কত দৃশ্য, কত ঘটনা দেখলাম যা আমার চোখ খুলে দিল। কত নতুন চিন্তা মাথায় এল।"
আপনি বোধহয় জানেন না, অধিকাংশ বলিউড নায়িকা আপনার ফ্যান। গওহর খান এই সিরিজে আপনার সঙ্গে বার বার স্ক্রিন শেয়ার করে আপ্লুত। জনে জনে বলছেন সেটা! "গওহরকে বলছি, আমি তোমার চরিত্রটা পেলে বর্তে যেতাম! "ঠাট্টার হাসি হেসে বললেন ডিম্পল।