#নয়াদিল্লি: ডেটিং (Dating) ব্যাপারটা যে হাল্কা করে এক সন্ধ্যায় কফি খেয়ে আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তা এত দিনে এই দেশের সংস্কৃতি বেশ ভালোই বুঝে গিয়েছে। অন্য দিকে, যৌনতা (Sex) নিয়ে সমাজে একটা সময় পর্যন্ত যে ছুঁৎমার্গ ছিল, তা এখন আর নেই বললেই চলে! ফলে প্রযুক্তির হাত ধরে নানা ডেটিং অ্যাপে (Dating App) ক্রমশ ভিড় বেড়েই চলেছে। কোনও সম্পর্কে থাকার চেয়ে এখন No Strings Attached Fun বা দায়বদ্ধতাবিহীন আনন্দ উপভোগই সমাজের অনেকাংশের পছন্দ।
তা, এই করোনাকালে (Covid 19) যদি চোখ রাখতে হয়, তা হলে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাব আমরা? ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যখন সারা বিশ্বের নানা প্রান্তে বিক্ষিপ্ত সময়ে লকডাউন (Lockdown) চলছিল, সেই সময়ে কি ডেটিং একেবারেই বন্ধ ছিল?
কফি ডেট, ডিনার ডেট বা মুভি ডেট বন্ধ ছিল সন্দেহ নেই! কেন না, কাফে, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল বন্ধ থাকায় এ সব করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। তা বলে এটা ভাবা ভুল যে এই সময়ে সম্পর্কের দিক থেকে সিঙ্গল যাঁরা, তাঁরা নিখাদ একা একা দিন বা রাত কাটিয়েছেন! সম্পর্কে দোকা যাঁরা, মানে যাঁদের সঙ্গী অথবা সঙ্গিনী রয়েছে একই ছাদের তলায়, তাঁরাও যে শুধু সেটুকুতেই সন্তুষ্ট থেকেছেন- এমনটা ভাবাও নেহাতই অন্যায় হবে। সম্প্রতি সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারের (Tinder) এক সমীক্ষা।
টিন্ডার বলছে যে লকডাউনের সময়ে তো বটেই, এমনকি তার পরবর্তী সময়ে ডেটিং অ্যাপ মারফত যৌন সঙ্গী বা সঙ্গিনী খোঁজা রীতিমতো সক্রিয় ছিল। এ ক্ষেত্রে অনেকেই কাছাকাছি বৃত্তের মধ্যেই রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে চেয়েছেন। তাতে বেশি দূরে যাওয়ার ঝক্কিও পোহাতে হয়নি। আর সেখান থেকেই মারণ ভাইরাসকে নিয়ে তৈরি হয়েছে হরেক মজার ট্রেন্ড।
এই ট্রেন্ডের মধ্যে সব চেয়ে এগিয়ে আছে কোয়ারান্টিন (Quarantine) অ্যান্ড চিল। মানে সাফ- এখন দরজা বন্ধ রাখাই নিয়ম, অতএব ভিতরে অবাধ যৌনতায় কোনও অসুবিধা নেই! অনেকে আবার ডেটিং অ্যাপের বায়োতে লিখেছেন যে ভাইরাসের মতোই পরস্পরের শরীর ছেয়ে থাকা যাক! অনেকে আবার জোর দিয়েছেন প্রাথমিক ব্যবহারিক স্বাস্থ্যবিধিতেও- হাতটা ভালো করে ধুলে তবেই তা অন্যের ধরার উপযোগী হবে, এই ছিল সারমর্ম!