#মুম্বই: যা-ই বলুন, কেউ ফিরিয়ে দিলে মনের মধ্যে একটা কিছু ঠিক হয়! করণ জোহরের (Karan Johar) ছবির নাম ধার করে বললে- কুছ কুছ হোতা হ্যায় (Kuch Kuch Hota Hai)!
মনোস্তত্ত্ব ব্যাখ্যার ব্যাপারে বলিউডের এই বিখ্যাত এবং একই সঙ্গে কুখ্যাত পরিচালক-প্রযোজকের প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ একটাই- ঘটনা যে তাঁর ওই ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি কুছ কুছ হোতা হ্যায় ঘিরেই! আর যাঁর ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে মনের মধ্যে তোলপাড়, তিনি আর কেউই নন, খোদ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)!
ঐশ্বর্য নিজে যেমন এই কথাটা বলেছেন, তেমনই জনসমক্ষে স্বীকার করে নিয়েছেন করণ নিজেও! ব্যাপার কী? না, কুছ কুছ হোতা হ্যায় ছবির টিনা চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব না কি গিয়েছিল ঐশ্বর্যর কাছে। ঐশ্বর্য তখন সবে তিনটে ছবি শেষ করেছেন তাঁর ফিল্ম কেরিয়ারে, কিন্তু তা-ও ধর্মা প্রোডাকশনসের (Dharma Productions) কাছ থেকে আসা এই প্রস্তাব তাঁর খুব একটা ভালো বলে মনে হয়নি!
"আমি তখন অভিনয় জগতে জমি শক্ত করার চেষ্টা করছি। বলিউডে একেবারেই নবাগতা। ওই সময়ে যদি টিনার চরিত্রটা করতাম, তাহলে লোকে বলতই বলত যে দেখো, ঐশ্বর্য নিজের মডেলিংয়ের ধারাই ছবির জগতে বয়ে নিয়ে চলেছে। সেই মডেলিং জগতের মতো স্ট্রেট করা চুল, সুন্দর মেক আপ, মিনি স্কার্ট, পাউট করা- এর বাইরে আর কিছু ও পারে না", করণকে ফিরিয়ে দেওয়ার পিছনে ঠিক কোন ভাবনা কাজ করেছিল, তা এই ভাবেই জানিয়েছিলেন নায়িকা।
করণ কিন্তু ব্যাপারটা সহজ ভাবে নিতে পারেননি! মুখে তিনি নানা ভাবে নানা সময়ে বলেছেন বটে যে ঐশ্বর্য তাঁর প্রিয় নায়িকা, কিন্তু সেই প্রিয় নায়িকার জন্য তাঁর চিত্রনাট্যে ঘটনার পরের ১৭ বছরে একবারও জায়গা হয়নি। তাহলে মিটমাট হল কী করে অ্যায় দিল হ্যায় (Ae Dil Hai Mushkil) মুশকিল ছবির সময়ে?
আসলে সাবা তলইয়ার খান চরিত্রের জন্য করণের তন্বী, নায়কের চেয়ে বয়সে বড় এক অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল। তাই এবারে নিজের প্রয়োজনেই অহঙ্কার গিলে ফের ঐশ্বর্যর দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ভাগ্যিস হয়েছিলেন! নাহলে করণের পরিচালনায় ঐশ্বর্য রুপোলি পর্দায় কোন অমোঘ জাদু ছড়াতে পারেন, তা অজানাই থেকে যেত!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।