#মুম্বই: ১৯৯৪ সালে মিস ইন্ডিয়া (Miss India) সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার জন্য একসঙ্গে লড়ছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) আর সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। ঐশ্বর্য যখন এই প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছিলেন তখন তিনি নাম করা মডেল এবং যথেষ্ট পরিচিত মুখ। তাঁর পাশে সুস্মিতা তখন নেহাতই আনকোরা। কিন্তু প্রতিযোগিতার ডার্ক হর্স বা কালো ঘোড়া ছিলেন সুস্মিতাই। চোখ ধাঁধানো সুন্দরী ঐশ্বর্যকে হারিয়ে মাটির কাছাকাছি থাকা গালে টোল ফেলা সুস্মিতাই জিতে নিয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়ার সেই বছরের বিজয় মুকুট।
কিন্তু সম্প্রতি জানা গেল এক অন্য ঘটনা। প্রয়াত অভিনেতা ও সঞ্চালক ফারুখ শেখের (Farooq Shaikh) জিনা ইসিকা নাম হ্যায় (Jeena Isi Ka Naam Hai) অনুষ্ঠানে একবার অতিথি হয়ে এসেছিলেন সুস্মিতা। সেখানে তিনি স্মৃতিচারণায় বলেন সেই সময়ের কথা যখন তিনি আর অ্যাশ দু'জনেই একই প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতার ফর্ম জমা দিতে গিয়ে সুস্মিতা জানতে পারেন যে ঐশ্বর্য এই প্রতিযোগিতায় আছেন শুনে ২৫ জন প্রতিযোগী নিজেদের নাম তুলে নিয়েছে। কারণ তাঁরা নিশ্চিত যে ঐশ্বর্যের মতো তাবড় সুন্দরী থাকলে তাঁর জয় নিশ্চিত। তাই শুধু শুধু সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। এইসব শুনে সুস্মিতাও ঘাবড়ে গিয়ে নিজের নাম সরিয়ে দেন প্রতিযোগিতা থেকে।
তাঁরও মনে হয়েছিল যে ঐশ্বর্যকে অসম্ভব সুন্দর দেখতে তাই তাঁর বা অন্য কারও মুকুট জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন যেন তাঁর নামও কেটে দেওয়া হয়। সুস্মিতা জানান এই ঘটনার কথা ঐশ্বর্যও জানেন। তিনি নিজেও জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্যকে যে তাঁর নাম শুনেই পিছিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কারও প্রশংসা করায় কখনও পিছিয়ে যান না বঙ্গললনা। তাই তিনি মুক্তকণ্ঠে বলেন, "আসলে ওঁকে এতটাই সুন্দর দেখতে যে ওঁর পাশে দাঁড়ালে আমায় কেমন লাগবে এই ভেবেই নিজের নাম তুলে নিয়েছিলাম আমি।" অবশ্য এই কাজের জন্য বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে বকা খেয়েছিলেন সুস্মিতা। তাঁর মা তাঁকে বলেন, "প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই তুমি হেরে গিয়েছ। যদি মনে করো যে ঐশ্বর্য এই বিশ্বের সেরা সুন্দরী তবে তাঁর কাছেই হেরে এসো।"
তবে সবাইকে চমকে দিয়ে মুকুট জেতেন সুস্মিতাই। এর পর দু'জনেই বিশ্বসুন্দরী ও ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর তকমা পেয়ে বলিউডে সফল কেরিয়ার শুরু করেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।