'প্রথম দেখাতেই আত্মহত্যা নিয়ে কথা বলেছিল সুশান্ত! আগে বুঝতে পারলে বাঁচাতাম', আয়েশা
সুশান্তের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত আয়েশা৷ বলছেন সুশান্ত খুবই রুচিশীল এবং চিন্তাশীল ছিলেন৷ তাঁর একটাই আফসোস যে সময় মত সাহায্য পেলে হয়ত বাঁচানো যেত সুশান্ত সিং রাজপুতকে৷
#মুম্বই:বান্দ্রায় সুশান্তের বাড়িতে যখন প্রথমবার দেখা হয়েছিল,তখনই আমরা আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করি! সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর বন্ধু আয়েশা কাপুর আদলখা তুলে ধরলেন এমন বিষ্ফোরক তথ্য৷ একটি পোস্ট করেছেন আয়েশা৷ সেখানে তিনি লেখেন, 'জীবন কতটা মূল্যবান, সেই নিয়েই শুরু হয় আমাদের কথা৷ সেখান থেকে একে একে উঠে আসে বেঁচে থাকার কারণ প্রসঙ্গ, এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয় আত্মহত্যার কথাও'৷ তবে তখন কোনও রকম আঁচ করতে পারেননি আয়েশা যে, এমন কিছু ঘটতে পারে ভবিষ্যতে৷ তিনি স্পষ্ট লিখেছেন সময় মতো কোনও সাহায্য হয়ত এই দুর্ঘটনা আটকাতে পারত৷
সুশান্তের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন না৷ নিয়মিত যে যোগাযোগ ছিল, তাও নয়৷ কিন্তু প্রথম যখন দেখা হয়ছিল সুশান্তের বান্দ্রার বাড়িতে,তখনই হয়েছিল জীবন এবং জীবন শেষ করে দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা৷ আয়েশার কথায়, 'আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে সুশান্ত বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা দু’জনে এবং সুশান্ত প্রশ্ন করেছিল এখান থেকে ঝাঁপ দিলে কেমন অনুভূতি হবে! সেখান থেকেই জীবনের গুরুত্ব, বেঁচে থাকার কারণ এবং এমন সব বিষয়ে নিয়ে অনেক গল্প হয়৷ আমার খুব ভাল লেগেছিল সেই সব আলোচনা৷ তারপর অনেক হাসিঠাট্টা হল, খাওয়া দাওয়া হল এবং তারপর আমি ফিরে এলাম বাড়ি'৷
'সেই দিনের পর থেকে যখনই আমাদের দেখা হত, তখনই আমরা ভিড় থেকে সরে গিয়ে এই ধরণের গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে কথা বলতাম৷ এই নিয়ে অনেক তত্ত্বিক কথা হত, ঝগড়াও হত৷, কিন্তু তার মধ্যেও ছিল গভীরতা৷ এই সব নিয়ে পরে আবার হাসিঠাট্টাও হত৷ খুব নিয়মিত এমন আলোচনা হত না, কারণ সেভাবে দেখা হত না'৷ পোস্টে লিখেছেন আয়েশা৷
সুশান্তের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত আয়েশা৷ বলছেন সুশান্ত খুবই রুচিশীল এবং চিন্তাশীল ছিলেন৷ তাঁর একটাই আফসোস যে সময় মত সাহায্য পেলে হয়ত বাঁচানো যেত সুশান্ত সিং রাজপুতকে৷