#মুম্বই: অতিমারী আবহে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল বলিউডের সমস্ত শুটিং। একে একে সবাই ফিরছিলেন ফ্লোরে। তবে সল্লু মিয়াঁ তেমন সাহস পাচ্ছিলেন না। এ দিকে হাতে পড়েছিল অসম্পূর্ণ বেশ কিছু কাজও। ভালো খবর এই যে অবশেষে কাজে ফিরছেন বলিউডের দাবাং। আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে 'রাধে-'র শ্যুটিং। করোনাকালে শ্যুটিং করার জন্য সরকারের নির্ধারিত সব নিয়ম মেনে ১৫ দিন কাজ চলবে। শ্যুটিংয়ের কলাকুশলীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মানা হবে আরও কিছু বাড়তি নিয়ম।
যেমন, রোজকার যাতায়াত এড়ানোর জন্য মুম্বইয়ের বাইরে এক স্টুডিওতে চলবে শুটিং। কলাকুশলীদের থাকার জন্য ভাড়া করা হচ্ছে হোটেল। কাজ চলাকালীন শ্যুটিং দলের কোনও সদস্য বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
সূত্রের খবর আরও বলছে যে প্রথম ধাপের কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে সবারই- কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। দ্বিতীয় ধাপে অভিনেতা-অভিনেত্রী তো বটেই, পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজনের ফের কোভিড টেস্ট করা হবে। একটি ভিডিও-র মাধ্যমে কলাকুশলীদের প্রত্যেককে নিরাপত্তামূলক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করে দেওয়া হয়েছে। লোকেশনে একজন চিকিৎসক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক দল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সলমন। শ্যুটিং ফ্লোরে হাইজিন-সংক্রান্ত বিষয়গুলো ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, তাই-ই খতিয়ে দেখবে সেই দল।
লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই পানভেলে নিজের ফার্ম হাউসে পরিবারের সঙ্গে থাকছিলেন সলমন খান। সেখানে একটানা ৫ মাস থাকার পর গত অগস্ট মাসে মুম্বইয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরেছেন তিনি।
'রাধে' ছবির সহ-প্রযোজক এবং সলমনের ভাই সোহেল খান জানিয়েছেন যে তাঁরা বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখবেন যাতে সমস্ত যান নিয়মিত স্যানিটাইজড হয়। এয়ার বাবল তৈরি করে তাই শ্যুটিং করা হবে। কলাকুশলীদের যাতে নিরাপদ পরিবেশে কাজের সুযোগ দেওয়া যায়, সে দিকে তাঁরা বিশেষ ভাবে নজর রাখবেন। তাই তাঁদের সঙ্গে সব সময় একজন চিকিৎসক এবং একজন পর্যবেক্ষণকারী আধিকারিক থাকবেন। ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও থাকবে।
ছবির খুব সামান্য শ্যুটিং বাকি, তাই আশা করা হচ্ছে যে ১০-১২ দিনের মধ্যেই পুরো কাজ সেরে ফেলা যাবে। বাকি থাকা অংশের মধ্যে রয়েছে ছবির নায়িকা দিশা পাটানির সঙ্গে সলমনের একটি গোটা গান ও নাচের শ্যুটিং। আর বাকি রয়েছে রণদীপ হুডা, জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিকোয়েন্সের শটও।