#মুম্বই: ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু৷ তারপর সেই মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা৷ শোকে কাতর সুশান্তের পরিবারের কাছে একের পর এক এমন খবর খুবই বেদনাদায়ক হয়ে উঠছে৷ সুশান্তের বান্ধবী টাকা লোপাট করেছেন, এই অভিযোগে আগেই মামলা করেছিলেন সুশান্তের বাবা৷ এবার উঠে এল রিয়ার সঙ্গে ড্রাগ সরবরাহকারীদের চ্যাট৷ যা থেকে জল্পনা যে, রিয়া ড্রাগ সেবন করতেন এবং সেই জালে পড়েছিলেন সুশান্তও৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে চুড়ান্ত টানাপোড়েন৷ ইতিমধ্যেই সেই চ্যাট সামনে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে যে একাধিকবার সুশান্তের বান্ধবী রিয়া বিভিন্ন ড্রাগের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন৷ রিয়ার কালো ছায়া তাঁদের ভাইয়ের জীবনে পড়েছিল৷ সুশান্তের জীবন শেষ করার পিছনে রিয়ার হাত দেখেছে রাজপুত পরিবার৷ এবার সেই সন্দেহে জুড়ল এই ড্রাগের কড়া ডোজ! যা জানতে পেরে সুশান্তের দিদি শ্বেতা বললেন যে রিয়ার এধরণের কার্যকলাপ দন্ডনীয় অপরাধ৷ এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক সিবিআই এই আর্জিই তিনি রাখলেন৷
মাদক বিষয়ে সুশান্ত-প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা চালাতেন। মঙ্গলবারই সেই তথ্য় সামনে আসে। এবার সেই জয়া শাকে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনেকেই মনে করছে, মাদক নিয়ে তাঁর এবং রিয়ার কথোপকথন, সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে নতুন দিক খুলবে।
ঠিক কী কথা হয়েছিল রিয়া এবং জয়ার? দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর রিয়াকে জয়া লেখেন, "চারটে ড্রপ দিয়ে দাও কফি বা চায়ে বা জলে। ওকে ওটা চুমুক দিয়ে খেতে দাও। তিরিশ চল্লিশ মিনিট যেতে দাও, দেখতে পাবে কিক।" রিয়া উত্তরে থ্যাংক ইউ বলেন জয়াকে।
অন্য দিকে, রিয়ার সঙ্গে মিরান্ডা সুশি নামক এক জনের কথা হয় ২০২০সালের ১৭ এপ্রিল। দেখা যায় মিরান্ডা রিয়াকে লিখেছন, "হাই রিয়া, আমাদের জিনিসটা একদম শেষ হয়ে গিয়েছে।" তিনি আরও লেখেন, তিনি যার কাছ থেকে ওই বস্তুটি নিয়েছিলেন তা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তার কাছে শুধুই মারিজুয়ানা জাতীয় নেশাদ্রব্য রয়েছে।
আরও পড়ুন শুধু টাকা নয়, ড্রাগসের নেশা ও কেনার তথ্য রিয়ার বিরুদ্ধে! তাহলে কি সুশান্তকেও করেছিলেন নেশায় বশ
অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, বড় ধরনের একটি মাদক চক্রের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন রিয়া। এদিকে সুশান্তের মারিজুয়ানা সেবনের কথাও প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করতে চাইছেন। প্রশ্ন করছেন, মাদক অধিক সেবনেই কি সুশান্তের এই পরিণতি? প্রশ্ন উঠছে, মারিজুয়ানা ছাড়াও আর কী কী নেশায় যুক্ত ছিলেন সুশান্ত-রিয়া? তাকে কী দেওয়ার কথা বলেছিলেন জয়া? সুশান্তের অজান্তেই কি তাঁকে কোনও নেশাবস্তু দেওয়া হয়েছিল?
এই বিষয়ে সিবিআই-এর নজর ঘোরাতে চায় সুশান্তের পরিবারও। তবে রিয়ার আইনজীবী এসব তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, যে কোনও মুহূর্তে তাঁর কৌসুলি রক্তপরীক্ষার জন্য তৈরি।
আরও পড়ুন সুশান্তের বাড়ির সামনে রহস্যজনক মহিলা কে? মুখ খুলে বিস্ফোরক মডেল অভিনেত্রী শিবানী...
উল্লেখ্য সুশান্ত মামলায় বর্তমানে একই সঙ্গে তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি এবং নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।