শর্মিলা মাইতি
#মুম্বই: একেই হয়ত বলে লাক ফ্যাক্টর। বলিউডের রঙ্গমঞ্চে কোনও অভিনেত্রী একশ ছবিতে অভিনয় করেও মানুষের স্মৃতিতে স্থান সংরক্ষণ করতে পারে না। আবার কেউ একটি ছবি করেই Recall value তৈরি করে নিতে পারেন! ভাগ্যশ্রী বললেই 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া' ভেসে ওঠে মনে। তার পর দুতিনটি ছবি করার পরে বলিউডকে গুডবাই করে তিনি পুরোপুরি সংসার ধর্মে মন দেন। এই ইন্টারভিউতে তিনি অভিনেত্রী নন, নিউট্রিশন ও ফিটনেস এক্সপার্ট। মুম্বইয়ে জুহুর প্রাসাদোপম দাসানি ভিলায় বসে আড্ডা দিলেন তিনি। আপনার আগামী ছবি তো প্রভাসের সঙ্গে। প্রস্তুতি কেমন চলছে? "প্রভাস নিজেই আমাকে ফোন করেছিল। আমার জন্য চরিত্রটা এক্কেবারে সঠিক তাই দারুণ লেগেছিল। প্রভাসের সঙ্গে পরিচয় দীর্ঘদিনের। তাই সত্যি ভাল লাগছে একসঙ্গে কাজ করতে পেরে।" সেই ছবির জন্যে প্রস্তুতি হিসেবে নয়, ভাগ্যশ্রীর ফিটনেস রুটিন টা প্রতিদিনের প্রস্তুতি। সঙ্গে পুরোমাত্রায় সুষম খাবার। নিজেই রান্না করেন প্রতিদিন। আপনি নিজের বয়সকে এভাবে থামিয়ে রেখেছেন কী করে? "একটা সিক্রেট শেয়ার করি? আমাদের সবচেয়ে বড় বদভ্যাসটা কী জানেন? অনেকেই হয়ত এক্সারসাইজ করি, কিন্তু খিদে পেলে সামনে যা পাই তা-ই খাই। সময়জ্ঞান থাকে না। খাবার হওয়া চাই এমন যা আপনাকে শুধু ওজন কমাতে নয়, মনের মেদ ঝরিয়ে মনকেও তাজা রাখবে। " মিষ্টি হেসে বললেন ভাগ্যশ্রী। "এই করোনা ভাইরাস এসে আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। শিখিয়েছে কীভাবে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই খাবার খেয়ে ভালভাবে বেঁচে থাকা যায়। নিজের বাড়িতে থাকতে ভুলে গিয়েছিলাম আমরা। এই অবসর আমাদের শেখাল কী করে অল্পেও ভাল লাইফ উপভোগ করা যায়। পজিটিভ ভাবতে শিখলাম আমরা।" কোথায় পজিটিভ? করোনা তো হতাশা ছড়িয়ে দিয়ে গেল সবার মনে। শারীরিক অসুস্থতা যদি নাও থাকে, মানে করোনা পজিটিভ না হলেও উপর্যুপরি লকডাউনের জেরে অর্থনীতি মারাত্মক ভেঙে পড়ছে..."এটাই তো পজিটিভ ভাবার সময়! আমার কাছে অনেকে ফিটনেস ট্রেনিং নিতে এসে এই প্রশ্নটা করেন। জীবনটা যদি চলার পথ হয়, হতাশা হল ডেড এন্ড। জেনেশুনে কি আমি ডেড এন্ডে গাড়ি চালাব নাকি গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা নেব যা আমাদের পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। আমি তো বলব, রাস্তা বদলের এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। খুশি থাকার জন্য টাকা বেশি লাগে না। অহেতুক চাহিদা কমিয়ে আনতে হয়। আর হ্যাঁ, যেটা আমি সবচেয়ে বিশ্বাস করি, তা হল খাবারের অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে আপনার মনের অসুখের কারণ। জোর করে মন ভাল করতে গিয়ে আমরা এমন সব খাবার খেয়ে ফেলি যা সিস্টেমবিরুদ্ধ। সেটার খারাপ প্রভাবই আমাদের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। " ভাল আর খারাপের তফাত বুঝব কী করে? সব নিউট্রিশনিস্ট রা তো শুধু তেলমশলা ছাড়া খাবার খেতে বলেন। হাসলেন ভাগ্যশ্রী, "বাড়িতে বানানো খাবারে নতুনত্ব আনুন। আগেকার দিনের মানুষের মতো টিফিনবক্সে খাবার নিয়ে কাজে বেরোন। সময়মত খান। মাইক্রোওয়েভের বদলে হট প্লেটে গরম করুন অথবা নর্মাল টেম্পারেচারের খাবার খাওয়া অভ্যাস করে নিন। বার বার গরম করা খাাবারে খাদ্যগুণ কমে যায়। মেয়েরা যাঁরা বাড়িতে থাকেন, তাঁরা সংসারে সবার খাবার ব্যবস্থা করতে গিয়ে নিজের দিকে নজর দেওয়া বন্ধ করে দেন। এটা করবেন না। নিজেকে সময় দিন, হতাশা কাটবে।" এখনও লোকে সলমন-ভাগ্যশ্রী জুটিকে পর্দায় দেখতে চায়। পিছন ফিরে দেখলে মনে হয়, বলিউডে আরো অনেকটা পথ হাঁটতে পারতেন, হঠাৎ ছেড়ে না দিলে? "কোনও রিগ্রেট নেই। জীবনটা সুন্দর করে গুছিয়ে সাজিয়েছি। ফিল্ম ছেড়ে দেওয়া সত্ত্বেও মানুষ আমায় মনে রেখেছে। আর সলমন খানের সঙ্গে পেয়ারিং? সেটা তো ভাবতে হবে প্রযোজক আর পরিচালকদের!" মিষ্টি করে হাসলেন ভাগ্যশ্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bollywood