''ভালবেসে হিংস্রতাকে নিঃস্ব করো ভালবাসার রক্তিম এক দৃশ্য করো...''
অস্থির সময়ে ফের একবার ভালবাসাকে সম্বল করে আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রূপম ইসলাম! মারণ ভাইরাসের দাপটে গোটা দেশ দিশেহারা! পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দিনে দিনে করুণ হচ্ছে, চতুর্দিক থেকে ভেসে আসছে শুধু হাহাকার...কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলিতে হাসপাতালের বেড, অক্সিজেনের নিদারুণ অভাব। মানুষ বড় কষ্টে, নিঃশ্বাস আজ বড় দামি! বাড়িতে-বাড়িতে কোভিড রোগী, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বাড়ির বাইরে পা রাখা অসম্ভব, তবে কীভাবে মিলবে ওষুধ, খাবার? এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রূপম ইসলাম, ‘মুক্তক্ষেত্র’ এবং ‘ফসিল্স ফোর্স’-এর সদস্যরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপম একটি পোস্ট মারফৎ জানান, '' কোভিড আক্রান্ত বা বাড়ির অন্যান্য সমস্যার কারণে যাঁরা ওষুধপত্র, বাজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন না, কমেন্ট বক্সে আমাদের জানান। আপনার এলাকায় আমাদের প্রতিনিধি থাকলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব আমরা। তাঁরা আপনার জন্য জিনিস কিনে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে।''
View this post on Instagram
শুধু কলকাতা নয়, বর্ধমান, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া-সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় মানুষের প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রূপমের সৈন্যরা। এই মিশনের প্রধান কাণ্ডারী রূপমের স্ত্রী রূপসা দাশগুপ্ত, তাঁর ভাষায়, '' কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধুর পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সময় তাঁদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছিল ‘মুক্তক্ষেত্র’ এবং ‘ফসিল্স ফোর্স’-এর ছেলেমেয়েরা। তখনই বুঝতে পারি, করোনা আবহে মানুষ কতটা অসহায় পড়েছেন! এই সময়ে সবচেয়ে জরুরি মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। বাংলার জেলায়-জেলায় ফসিলস ফোর্স, ফ্যান-ক্লাবের প্রচুর ছেলেমেয়ে রয়েছে! ওদের কাছে সাইকেল-বাইক-ও আছে। তাই ভাবলাম, এই পরিকাঠামোটা কাজে লাগিয়ে যদি মানুষের পাশে আরও বেশি করে দাঁড়ানো যায়! সবাই রাজিও হয়ে গেল! মাত্র ২ দিনেই কলকাতা-সহ জেলার প্রচুর মানুষের কাছে খাবার, প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে 'টিম রূপম ইসলাম', ‘মুক্তক্ষেত্র’ এবং ‘ফসিল্স ফোর্স’।''
রূপসা আরও বলেন, '' এই মুহূর্তে বেড আর অক্সিজেন-এর চাহিদাও বিশাল! কিন্তু আমরা সরাসরি সেই ব্যবস্থাটা করতে পারছি না। যদিও গত ২ দিনে অনেক সদস্য বেড, অক্সিজেনও যোগাড় করেছে। পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অক্সিমিটার। আমরা একটা ফরম্যাট করে দিয়েছি। সেখানে নাম, ফোন নম্বর, এলাকা, ঠিকানা ও কী প্রয়োজন তা ফিল-আপ করে, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানালে আমরাই যোগাযোগ করে নিচ্ছি। একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে, সেখানে মানুষের দেওয়া তথ্য শেয়ার করে আমরা জেনে নিচ্ছি ওই এলাকায় আমাদের কোন প্রতিনিধি রয়েছেন।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।