#মুম্বই: শারীরিক নিগ্রহ এবং তার সঙ্গে পেশাদার জগতের জড়িয়ে থাকার মতো বিষয়টি নিয়ে বছর কয়েক হল সরব হয়েছে হলিউড, বলিউড দুই পক্ষই! দাবানলের মতো জ্বলে উঠে এক সময়ে স্তিমিতও হয়ে গিয়েছে #MeToo আন্দোলন। কিন্তু এর বাইরেও যে প্রতি পদে মেয়েদের শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়, বিকৃত কামনার গ্রাস থেকে যে সমাজের কোনও স্তরের মেয়েরাই নিরাপদ নন, সে কথা নতুন করে প্রমাণ করে দিলেন বলিউডের সুপারস্টার আমির খানের মেয়ে ইরা খান।
ইরা মাঝে মাঝে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলে থাকেন। এই যে নিজের দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি, সেটা কিন্তু আচমকা উঠে আসেনি। উঠে এসেছে এই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গেই। বিখ্যাত তারকার মেয়ে হওয়া তাঁকে কী সুবিধা দিয়েছে, খুব অল্প বয়সেই মা আর বাবার দাম্পত্যের ভাঙন কেমন প্রভাব ফেলেছে তাঁর বড় হয়ে ওঠার মধ্যে- সেই সব কিছুর ফাঁকে এক সময়ে এই দুঃখজনক ঘটনাটিরও উল্লেখ করেছেন ইরা।
তিনি জানিয়েছেন যে ১৪ বছর বয়সে তাঁকে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই বয়সের এক কিশোরীর এই নিয়ে কোনও ধারণা থাকার কথা নয়, সে কারণেই সচেতনতাও তৈরি হওয়ার কথা নয়। ইরাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছেন সেই দিকটাই। জানিয়েছেন যে- এ রকম ঘটনা তো আর রোজ রোজ ঘটে না, তাই তিনি প্রথমে বুঝে উঠতে পারেননি যে ঠিক কী হচ্ছে তাঁর সঙ্গে! যখন সামান্য হলেও বুঝেছেন, তখন তাঁর মনে হয়েছিল যে অপর ব্যক্তিটি কি সম্পূর্ণ ভাবে জেনে-বুঝেই এ কাজ করছে? এই সব অভিঘাত মিলিয়ে তিনি যখন বিস্ময়ে বিমূঢ়, সেই সময়ে রিনা এবং আমির ভাগ্যক্রমে ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে মেয়েকে রক্ষা করেন হেনস্তার হাত থেকে!
এই প্রসঙ্গে না বললেই নয় যে সামাজিক ধারণার প্রভাবে অনেক মেয়েই ভেঙে পড়েন, শারীরিক নিগ্রহের জন্য তাঁদের নিজেদের দোষী মনে হয়। ইরা জানিয়েছেন যে তাঁর সে রকম কোনও অনুভূতি হয়নি। ঘটনার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসার পরেই তাঁর কাছে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর আর কোনও কারণ ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।