#কলকাতা: ছাত্রদের অনলাইনে পরীক্ষা আর নয়। বাড়িতে বসে স্কুলের দেওয়া প্রশ্নের উত্তর লেখা বা অনলাইন পরীক্ষা আর চাইছেন না অভিভাবকরা। সেই নিয়ে আজ স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের বেশ কয়েকজন অভিভাবক বিক্ষোভ দেখান স্কুলের গেটের বাইরে। অবশেষে প্রধান শিক্ষক মহাশয় বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দেওয়ার পরে অভিভাবকরা বাড়ি ফিরে যান।
বেলা বারোটা থেকে স্কুলের গেটের বাইরে জনা পঞ্চাশেক অভিভাবক জড়ো হন। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। অভিভাবকদের দাবি হল, দু'বছর করোনার কথা মাথায় রেখে ছাত্ররা বাড়িতে বসে পরীক্ষা দিয়েছে। কেউ অনলাইনে, আবার কেউ অ্যাসেসমেন্ট করে।
এক অভিভাবক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন 'বাড়িতে বসে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেওয়ার ফলে তাঁরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চুরি করে লিখছে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন হচ্ছে না। বরং মান কমছে'।
অভিভাবিকা সম্পা দত্তর ছেলে ওই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাঁর দাবি প্রথম শ্রেণি থেকে তাঁর ছেলে পরীক্ষায় প্রতিবারই প্রথম বা দ্বিতীয় হয়েছে। কিন্তু অনলাইন পরীক্ষা হওয়ার ফলে বা অ্যাসেসমেন্ট নিয়মে তাঁর ছেলের রোল নম্বর অনেক পিছনের দিকে চলে গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য ,'যারা গড় রেজাল্ট করা ছাত্র, বাড়িতে বসে উত্তর দেখে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তারা প্রথমের দিকে চলে এসেছে।'
আরও পড়ুন- রাতভর বৃষ্টির জেরে ভাঙলো নদীর বাঁধ,জল ঢুকছে গ্রামে! আতঙ্কে বাসিন্দারাতিনি এও দাবি করেন, সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছিল তাঁর ছেলে। তাঁর জন্য নম্বর কম পেয়েছে। ছেলের খারাপ পরীক্ষার ফল হওয়ার জন্য অবসাদে ভুগছে বলে দাবি করেন তিনি। অভিবাবকরা প্রত্যেকে দাবি করেন, এবার থেকে যেন স্কুলের শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে ছাত্রদের পরীক্ষা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের বক্তব্য, তাতে নাকি অনেকটা দেরি হয়ে যাবে। সে কথা শুনতে নারাজ অভিভাবকদের অধিকাংশ। অবশেষে স্কুলের প্রিন্সিপাল বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অভিভাবকরা চাইছেন অফলাইন পরীক্ষা। তাঢ় রা কোনভাবেই বাড়িতে বসে খাতা কলমে পরীক্ষা বা অনলাইন পরীক্ষা চাইছেন না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।