#নয়াদিল্লি: সাফল্য বোধহয় এমনই। কিন্তু সাফল্যের স্বাদ তো সবসময় মিষ্টি হয়, তেমনও নয়, তাই না! যেমন এই কথাটা খাটে কর্নাটকের তুমকুর জেলার অরুণা এম-এর ক্ষেত্রে। ২০২১ সালে যে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছিলেন পাঁচ বারের চেষ্টার পর। সারা ভারতে ৩০৮ তম স্থান পেয়েছিলেন তিনি। আগাগোড়া সিভিল সার্ভিসের অফিসার হওয়ার জন্য প্রাণপণ করে খেটে যাওয়া অরুণার কাছে এই সাফল্য তবু যেন কিছুটা তিতকুটে! কেন? কারণ এই অরুণা ও তাঁর বোনেদের শিক্ষার খরচের জন্য নেওয়া লোন শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন তাঁদের বাবা। সাফল্যের দিনেও তাই বিশাদ অরুণার মনে।
আরও পড়ুন: 'নিজের লোক ছাড়া টেন্ডার দেয় না', জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে কড়া কথা মমতার
২০০৯ সালে অরুণার বাবা আত্মহত্যা করেন, যখন অরুণা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন, কারণ তিনি মেয়েদের পড়াশোনার জন্য নেওয়া ঋণের ভার আর সইতে পারছিলেন না। অরুণারা ছিলেন পাঁচ ভাই বোন। এর মধ্যেই বাবা মৃত্যু তাঁদের পরিবারের উপর অন্ধকার ডেকে আনে। যদিও তখন অরুণার বড় বোন রাজি হন যে তিনি চাকরি করবেন ও পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবেন। বাবা সবসময়েই চাইতেন মেয়েরা যেন আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হয়। চাইতেন, কেউ একটা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে দেশের সেবা করুক। সেই স্বপ্ন পূরণ হল, কিন্তু দেখে যেতে পারলেন না বাবা।
আরও পড়ুন: "দুর্নীতি বরদাস্ত করে না বিজেপি, ৮ বছরে তাই ব্যাপক পরিবর্তন ভারতে": প্রধানমন্ত্রী মোদি
অরুণা বলছেন, বাবা আমাদের মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল যে মেয়ে হলেও আমাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে হবে। তাই আমরা ভাবতাম, আমাদের নিজেদের উপার্জনের পথ নিজেদেরই স্পষ্ট রাখতে হবে। সেই কারণে ছোটবেলায় ভেবেছিলাম, ১০-১৫ হাজারের একটা চাকরি হলেও আমি করব। তাতে পরিবারের কিছুটা সাহায্য হবে। কিন্তু তার পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়েই আমার বাবা আত্মহত্যা করেন। কারণ, তিনি ভেবেছিলেন, তিনি আমাদের পড়াশোনার যথেষ্ট খরচ জোগান দিতে পারবেন না। আমি বাবার সেই হারিয়ে যাওয়া হাসি ফিরে পেতে চাই আমার কাজের মাধ্যমে। আমি আমার দেশের সাধারণ কৃষকদের মধ্যে সেই হাসিটা ফিরে দেখতে চাই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: UPSC