#কলকাতা: মাস খানেক আগেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, স্কুলের বেতন বকেয়া থাকলেও অনলাইন ক্লাস বাতিল করা যাবে না। দিশারী স্কুলের ফি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায়, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছিলেন অভিভাবকরা। কিন্তু এবার বকেয়া স্কুল ফি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল আদালত। শুক্রবার নির্দেশ দেওয়া হল, আগামী তিন সপ্তাহের অভিভাবকরা দু'বছরের বকেয়া ফি-র (School Fee) ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে অভিভাবকদের। কোভিড পরিস্থিতিতে 'ছাড়' বাদ দিয়েও মূল ফি এখনও দেননি অনেক অভিভাবক।
এদিন হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, ৩ সপ্তাহেও বকেয়া না দিলে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে স্কুল গুলি।
এর আগে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ফি (School Fee) বৃদ্ধির অভিযোগে মামলা করেছিলেন অভিভাবকরা। সেক্ষেত্রে বকেয়া ফি-র (School Fee) ৮০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু এরপর স্কুলগুলি আদালতে জানায়, আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন অভিভাবকরা। কোটি কোটি টাকা স্কুল ফি বকেয়া রয়েছে। ফলে স্কুলের কাজকর্ম চালাতে, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন দিতেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে পারছে না, তাই পূর্বের নির্দেশ মতো স্কুলের বেতন বকেয়া থাকলেও অনলাইন ক্লাস বাতিল করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে পূর্বের বকেয়া স্কুল ফি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ধাপে ধাপে (ইনস্টলমেন্টে) দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্কুলগুলির অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস বন্ধ না হলেও বকেয়া ফি মেটানো হচ্ছে না অভিযোগ করে স্কুলগুলি।
আদালতের নির্দেশ ছিল, বেসরকারি স্কুলগুলি শুধুমাত্র টিউশন ফি-র ৮০% নিতে পারবে। এ ছাড়া অন্য কোনও বাড়তি ফি নিতে পারবে না। সেই সঙ্গে অভিভাবকদের আরও স্বস্তি দিয়ে আদালত জানিয়েছিল, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বকেয়া ফি আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ধাপে ধাপে দিতে পারবেন অভিভাবকরা। কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।