মনের জোর আর ইচ্ছাশক্তি থাকলেই যে, সব বাধা অতিক্রম করা যায় তার প্রমাণ বারবার রেখেছে মানুষ। এবার আবারও সে কথাই প্রমাণ করলেন রাজস্থানের করৌলির বারুলা গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। দারিদ্র্যকে সঙ্গে করেই সাফল্য ছিনিয়ে নিয়েছেন বাবলু মীনা নামে ২২ বছরের যুবক। অদম্য জেদ আর কঠোর পরিশ্রমে ভর করে তিনি পেয়েছেন আবহাওয়া দফতরের সহকারী বিজ্ঞানী পদ।
পিছিয়ে পড়া গ্রাম বারুলার বাসিন্দা বাবলু ও তাঁর পরিবার চরম দারিদ্র্য সঙ্গী করেই জীবন ধারণ করেছেন এতদিন। কিন্তু বাবলুর কঠোর পরিশ্রম তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের দোরগোড়ায়। তাঁর বাবা পেশায় একজন ট্রাকচালক। বাবলুর পরিবার বেশ বড়, বাবা মা ছয় ভাইবোনের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় চিরকাল। তবু তাঁর বাবা ট্রাক চালিয়ে, ঋণ করে তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাবলু। ২০২২ সালে জুলাই মাসে স্নাতক পাঠক্রম শেষ করেছেন বাবলু।
আরও পড়ুন- বড় অভিযানে ইডি, ১৫ জায়গায় রেইড! এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত ২০০ কোটির বেশি সম্পত্তি
আরও পড়ুন- 'দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে মেট্রো' স্টেশন! কবে থেকে চালু হাওড়া-শিয়ালদহ মেট্রো? বড় খবর
তিনি বলেন, ‘সংসারের যা পরিস্থিতি, তাতে একটা চাকরির খুব দরকার ছিল। তাই কঠোর পরিশ্রম করেছি, গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়াশোনা করেছি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পড়তাম। আবার রাত ১২টা পর্যন্ত পড়তাম।’
ডিসেম্বর মাসে বাবলু আবহাওয়া দফতরে সহকারী বিজ্ঞানী পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ৬ মাস নিয়মিত অধ্যয়নের পর সাফল্য পেয়েছেন তিনি। আর এই সাফল্যের সব থেকে বেশি কৃতিত্ব তিনি দিতে চেয়েছেন তার বড় ভাই, ছোট ভাই বোন-সহ তাঁর পরিবারকে।
বাবলুর দাদা একটি দোকানে কাজ করেন, মাত্র ৯ হাজার টাকা মাইনে পান। কিন্তু তিনি নানাভাবে ছোট ভাইকে পড়াশুনায় উৎসাহিত করেন। তাঁর ছোট বোন জয়পুরে বাবলুর কাছেই থাকতেন। বাবলু জানিয়েছেন তাঁর রান্না-খাওয়ার সমস্ত ভার ওই ছোট বোনই নিয়েছিলেন।
সাফল্য এলেও এখনই থেমে যেতে রাজি নন বাবলু। তাঁর মূল লক্ষ্য ইউপিএসসিতে ভাল ফল করা এবং একজন আইএএস অফিসার হওয়া। দারিদ্র্যের কারণেই তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরে সহকারী বিজ্ঞানী পদে জন্য প্রস্তুতি নেন। তবে এই চাকরি পেয়ে যাওয়ার পর আর থামতে রাজি নন বাবলু। এবার ইউপিএসসি তাঁর লক্ষ্য।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Success story