#রায়না: দেরিয়াপুর গ্রামে হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সব্যসাচী মন্ডল খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। ঘটনাস্থল থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে উদ্ধার একটি কালো রঙের ব্যাগ। ব্যাগের মধ্যে ছিল একটি ওয়ান সাটার, একটি ৭ এমএম পিস্তল ও একটি ধারাল অস্ত্র। একইসঙ্গে মিলেছে বেশ কিছু পোশাক। ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে এই ব্যাগের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রয়োজনে অস্ত্র-সহ এই ব্যাগ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাগটি সব্যসাচী মণ্ডলের কিনা তা নিশ্চিত হতে পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছে।
ঘটনার দিন গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিল সব্যসাচী মণ্ডলের বন্ধু রাজবীর সিং। রাজবীর আরও জানান, তিনি নীচে এসে দেখেন সব্যসাচীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে আততায়ীরা। বাধা দিতে গেলে তিনিও আহত হন। এখানেই পুলিশ নিশ্চিত হতে চাইছে আদপেই কি গুলি চলেছিল? যদি চলে, তাহলে ঘটনাস্থল থেকে ৪ কিমি দূরে ব্যাগ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই কি চলেছিল, নাকি ব্যবহার করা হয়েছিল অন্য কোনও আগ্নেয়াস্ত্র!
কলকাতার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে ঠিক কোথায় খুন করা হয়েছিল? দোতলায় নাকি নিচের তলায়? সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, রায়নার দারিয়াপুরের বাড়ির নিচের তলার পাশাপাশি রক্তের দাগ মিলেছে দোতলাতেও। রক্তের দাগ মিলেছে সিঁড়ির রেলিংয়েও। মৃত সব্যসাচীর বন্ধু রাজবীর পুলিশকে জানিয়েছিল, রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। নিচের তলা থেকে সব্যসাচীর ডাক পেয়ে তিনি নিচে নামেন। তখন তিনি দেখেন দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সব্যসাচীকে কোপাচ্ছে। বাঁচাতে গিয়ে তিনিও আহত হন। দোতলায় রক্তের নমুনা তাঁরই। রাজবীরের ডান দিকে আঘাত ছিল। সিঁড়ির বাঁদিকের রেলিংয়ে রক্তের দাগ এলো কীভাবে-তদন্তে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।
রবিবার ঘটনাস্থলে যায় সিআইডির চার সদস্যের তদন্তকারী দল। তারপর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন। ওপর তলার বা সিঁড়ির রক্ত সব্যসাচী না রাজবীরের তা খতিয়ে দেখছে ফরেনসিক দল।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman