#উত্তরপ্রদেশ: ২৯ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে খোদ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে। বারখেরা পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত ওই এলাকাতেই যুবতীর বাপের বাড়ি। ওই পুলিশ স্টেশনেরই সাব-ইন্সপেক্টর অভিযুক্ত প্রকাশ যাদব। অভিযোগকারিণীর দাবি, ধর্ষণের চেষ্টার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ফোনে অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়ে তাঁকে উত্যক্ত করছিলেন ওই পুলিশকর্মী। ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত এসআই-কে সাসপেন্ড করেছেন জেলার এসপি। তাঁকে আপাতত রিজার্ভ পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে ক্লোজ করে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসপির কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবতী। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি। যদিও পুলিশ এই ঘটনা মিডিয়ায় আসতে দেয়নি এতদিন। অভিযোগকারিণীর দাবি, ১৫ বছর আগে তাঁর বাবা-মা মারা যাওয়ার পর গ্রামের গজরৌলা পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত একটি এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। কিছুদিন আগে তিনি জানতে পারেন, বাবার একটি জমি ছিল যেটি তাঁর বিশেষ ভাবে সক্ষম ভাইয়ের নামে করা রয়েছে। বিলাসপুরের বাসিন্দা তাঁদের বড় দিদি জোর করে সেই জমি দখল করতে চাইছেন।
কিছুদিন আগে বরখেরা পুলিশ স্টেশনে দিদির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। সেখানেই অভিযুক্ত এসআই ফোন নম্বর পান তাঁর। এর পর থেকেই রাত দশটার পর থেকে ভিডিও কল এবং অশ্লীল মেসেজ পাঠানো শুরু করেন ওই এসআই। একদিন, ওই পুলিশকর্মী বিলাসপুর থেকে ভাইকে নিয়ে আসার কথা বলেন এবং তাঁর সঙ্গেই যুবতীকে সেখানে যেতে বলেন। ২ ফেব্রুয়ারি বিলাসপুরে পৌঁছনোর পর পটেলনগরের একটি ফ্ল্যাটে যেতে বলেন ওই পুলিশ। সেখানে বসে অভিযোগ লেখার নির্দেশ দেন। ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার পরই যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কোনও মতে তিনি সেখান থেকে পালান।
এর পর যুবতীর দাবি, তাঁকে ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করে ফাঁসানোর হুমকিও দেন ওই পুলিশ। স্বামীকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে এসপির কাছে গিয়ে নালিশ জানান তাঁরা। এর পরই ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসআইকে সাসপেন্ড রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ৩৫৪ (এ) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।