#কানপুর: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ ৮ পুলিশকর্মী শহিদ হওয়ার ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে৷ মনে করছে পুলিশ৷ একের পর এক এমনই তথ্য সামনে আসছে৷ তদন্তে নেমে STF-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ৩ জুলাই রাতে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে গ্রেফতার করতে যাওয়ার সময় ছৌবিপুর থানা থেকে কেউ ফোন করে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছেদের আর্জি জানান৷ যদিও কে এই ফোন কলটি করেছিল, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ৷
তদন্ত নেমে STF জানতে পেরেছে যে, দুষ্কৃতী ও পুলিশের গুলির লড়াইয়ের সময় গ্রামে কোনও আলো জ্বলছিল ছিল না৷ বিদ্যুত সংযোগ ছিল না সেখানে৷ এই নিয়ে যখন বিদ্যুত সরবরাহ সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ, তখন জানা যায় যে থানা থেকে কেউ ফোন করে এলাকার বিদ্যুৎ যোগ বন্ধ করতে বলে৷ নিজেকে পুলিশ কর্মী বলে ফোনে পরিচয় দেন সেই ব্যক্তি জানান যে স্থানীয় বিকরু গ্রামে তাণ্ডব চলছে এবং তখনই তিনি বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করতে বলেন৷ সেই ফোন পেয়ে স্থানীয় লাইনম্যান মনু গিয়ে তখন বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়৷ এরপরই সেই ফোন নম্বরটি খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে সেই নম্বর ছৌবিপুর থানার!
আরও পড়ুন ফের পুলওয়ামায় CRPF কনভয় লক্ষ্য করে IED বিস্ফোরণ
ফরেন্সিক দলের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে জানা গিয়েছে যে, স্থানীয় বিকরু গ্রামের দুষ্কৃতীরা পুলিশের ওপর অটোম্যাটিক রাইফেল থেকে গুলি চালায়৷ পুলিশের ওপর বেশি গুলি চলেছে বলে জানা গিয়েছে৷ ডিজিপি অবস্থি জানিয়েছেন যে দুষ্কৃতীরা উন্নতমানের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল, সেই বিষয় তাঁরা নিশ্চিত৷
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে উত্তরপ্রদেশে নিহত হন ৮ পুলিশকর্মী। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র মিশ্র। দাগি আসামী বিকাশ দুবেকে গ্রেফতার করতে অভিযান করে পুলিশ। স্থানীয় বিকরু গ্রামে পুলিশকে আটকাতে এলোপাথারি গুলি চালায় বিকাশ দুবের দলবল। ছাদের উপর থেকে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান স্থানীয় শিবাজিপুর থানার অফিসার-সহ ৮ পুলিশ। ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী সন্তোষ শুক্লা খুনে অভিযুক্ত বিকাশ দুবে। তাকে গ্রেফতার করতেই এই অভিযান করেছিল পুলিশ।