#হাওড়া: 'আমরা খুব গরিব তাই চুরি, ডাকাতি করা ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই৷' ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূর মুখ, হাত-পা বাঁধার সময় এ কথাই বলল দুষ্কৃতীরা৷ ভর সন্ধ্যায় হাওড়ায় গৃহকর্ত্রীকে বেঁধে রেখে প্রায় ৩৫ লক্ষ্য টাকার সোনার গয়না ও নগদ সহ বাড়ির দামি জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দৃষ্কৃতী দল৷ যে মহিলাকে বেঁধে রেখে এই ডাকাতি হয়, তিনিই জানিয়েছেন যে ডাকাতি করার আগে এমনই কথা বলে দুষ্কৃতীরা৷
গতকাল, শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার ব্যাটরা থানা এলাকার গয়লা পাড়ায়। বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সোনার গয়না রাখা ছিল, সম্ভবত সেই খবর পেয়েই দুষ্কৃতীরা হানা দেয় বলে অনুমান পুলিশের। গৃহকর্ত্রী শান্তনা পাল জানিয়েছেন, দু'জন লোক আচমকাই তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। একজন বলে, 'স্যর পাঠিয়েছে।' শান্তনাদেবী যখন এই 'স্যর'- কে সেটা জানতে চান, তখন দুষ্কৃতীরা ধমক দিয়ে বলে ওঠে, 'একদম চুপ, না হলে মেরে ফেলব |' এর পরেই ব্যাগ থেকে টেপ বের করে পিছন দিক থেকে তাঁর মুখে প্লাস্টিক কাগজ ঢুকিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় । এর পর পিছমোরা করে হাত , পা, বেঁধে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় শান্তনাদেবীকে |
এক ঘন্টা ধরে ঘরের ভিতর একের পর এক আলমারি ভেঙে টাকা গয়না লুঠ করে দুষ্কৃতীরা । অভিযোগ, ভয় দেখাতে শান্তনাদেবীর গলায় ছুরি ধরা হয়৷ এমন কি, মারধরও করা হয় তাঁকে৷ এক দুষ্কৃতী যখন এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তখন আরেকজন বাড়ির পোষা কুকুরকে গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করে। যাওয়ার সময় মহিলার হাত খুলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা৷
কোনও রকমে নিজের মোবাইল থেকে নিজের স্বামীকে ফোন করে গোঙাতে থাকেন শান্তনাদেবী। বিপদের ইঙ্গিত পেয়েবাড়িতে ফিরে আসেন বাকি সদস্যরা৷ শান্তনাদেবীর ছেলে সম্রাট পাল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা তাঁকে ফোন করলে তিনি ঘরে ফিরে মাকে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। গোটা ঘর লন্ডভন্ড। তাঁর বাবা সকালে বেরিয়ে যান। রাতে ফেরেন। তিনিও বিকেল চারটের পর থাকেন না। এই খবর দুষ্কৃতীরা জানতো বলেই মনে করছেন সম্রাট পাল। গোটা ঘটনাটি হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে দেখছে। খবর দেওয়া হয়েছে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের। গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah