হোম /খবর /ক্রাইম /
অনলাইনে Bluetooth হেডফোন কিনে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব ১ লক্ষ টাকা! মাথায় হাত যুবকের

অনলাইনে Bluetooth হেডফোন কিনে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব ১ লক্ষ টাকা ! মাথায় হাত যুবকের

Representational Image

Representational Image

অনলাইনে ব্লুটুথ হেডফোন কিনে এভাবেই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: অনলাইন শপিং করেন নিয়মিত? করুন, তবে সাবধানে। অনলাইন শপিংয়ের সূত্র ধরে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। অনলাইনে ব্লুটুথ হেডফোন কিনে এভাবেই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। পুলিশে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা।

ঠিক কীভাবে প্রতারিত হয়েছেন মেমারির যুবক? তিন সপ্তাহ আগে  অন লাইনে একটি ব্লু টুথ হেডফোনের অর্ডার দেয় মেমারির এক যুবক।  ক্যাশ অন ডেলিভারিতে ব্লু টুথ হেড ফোন তার বাড়িতে আসে। কিন্তু সেই জিনিসটি তার অপছন্দ হয়। এরপর অন লাইন শপিংয়ের নিয়ম মেনে  ব্লু টুথ হেড ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়। এরপর অন লাইন শপিং সংস্থা  টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য পেটিএম নম্বর চায়। ওই যুবকের কোনও পেটিএম অ্যাকাউন্ট ছিল না। সে তার বন্ধু পল্লব শর্মার পেটিএমের অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা ফেরত দিতে বলে। ওই সংস্থা অন লাইনে পল্লব শর্মার পেটিএম অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাঙ্কের ডিটেইলস নেয়। তাকে জানানো হয় পেটিএমের মাধ্যমে ৭৯৮ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

এরপর পল্লব শর্মা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে তিন ধাপে মোট এক লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়। টাকা ফেরতের বদলে এক লক্ষ টাকা চলে যাওয়ায় মাথায় হাত  পল্লব শর্মার। তিনি মেমারি থানায় ও ব্যাঙ্কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এতদিন ফোন করে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে এটিএম কার্ডের নম্বর ও পিন কোড জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা আকছার ঘটছিল। এবার অন লাইন শপিংয়ের টাকা ফেরতের নামে প্রতারণার ঘটনায় চিন্তিত অনেকেই।

এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা বলছেন, উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে প্রতারণায় সক্রিয় বেশ কয়েকটি চক্র। নিত্য নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। তাই অন লাইন শপিং করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। অনেক অনামি সংস্থাই টোপ হিসেবে নজরকাড়া অফার দেয়। তাতে প্রলুব্ধ হয়ে অর্ডার দিয়ে ফেলেন অনেকে। ফেরত আসবে এমন সামগ্রীই পাঠায় তারা। এরপর টাকা ফেরতের নামে সব তথ্য হাতিয়ে নেয় । তখন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া তাদের কাছে সহজ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এইসব সংস্থার কোনও বৈধ কাগজপত্র থাকে না। তাই তাদের হদিশ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

Saradindu Ghosh

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Bank Fraud, Online Shopping