#লখনউ: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Rape) লখনউয়ে ডঃ রাম মনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউট (RML Institute)-এ এক মহিলার ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। অভিযোগ হাসপাতালের কর্মীরাই এই নক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত৷ এই অভিযোগটি করেছেন সিটি ওয়ার্ডের একটি মেয়ে৷ তিনি জানিয়েছেন যে হাসপাতালের কর্মীরা তার ৪০ বছরের মাকে ধর্ষণ করেছে (40 year old mother rape)। তবে পুলিশকে বলেও যখন কোনও কাজ হয়নি তখন জেলা সফরে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানীর কাছে এই অভিযোগ নিয়ে সরাসরি সরব হয় মেয়েটি৷ মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমার মায়ের ধর্ষণ করেছে হাসপাতাল কর্মী৷ এরপরই স্মৃতি ইরানি বিষয়টির উপর নজর দেন এবং জেলাশাসককে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন।
লখনউয়ের এক মহিলা অসুস্থ হয়ে গত ৬তারিখে গৌরীগঞ্জে জেলা হাসপাতাল ভর্তি হন। মহিলার মেয়ে জানিয়েছিল যে তার অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসকরা তার মাকে ডঃ রাম মনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। কন্যা জানিয়েছেন ৭ই জুন প্রথমে তার মা প্রথমে জরুরি বিভাগে ভর্তি হন এবং পরে সেখান থেকে চতুর্থ তলার ৪১ নম্বর বেডে তাকে রাখা হয়। এর পরে পরিবারের সদস্যদের কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। অনেক অনুরোধের পরে তিনি যখন দু'দিন পরে তার মায়ের সাথে দেখা করেন তিনি, তখন তার অবস্থা গুরুতর ছিল। দেখা হওয়ায় তার মা জানিয়েছিলেন যে চিকিৎসক ও কর্মীরা তাকে মারধর করেছে এবং এর সঙ্গে তার সঙ্গে খুবই খারাপ কাজ করা হয়েছে৷ মেয়েকে তিনি তার ধর্ষণের কথা মুখ ফুটে বলতে পারেননি৷ তবে মেয়ে বিষয়টি আন্দাজ করতে পারে৷ এরপরে শুক্রবার রাতে অজ্ঞান অবস্থায় সেখান থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর তাকে আবারও জেলা হাসপাতাল গৌরীগঞ্জে ভর্তি করা হয়।
শনিবার, জেলা সদরে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি৷ তাঁকে দেখেই মেয়েটি তাঁর মায়ের উপর অত্যাচারের কথা বলতে থাকেন৷ উল্লেখ্য, এর আগে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ কোনও পাত্তাই দেয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়েটির কথা শোনার পরে স্মৃতি ইরানি, জেলা শাসক, পুলিশ সুপার এবং সিএমওর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে তদারকি করতে নির্দেশ দেন।
জেলাশাসক অরুণ কুমার জানিয়েছেন যে, এই অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য গৌরীগঞ্জ সাব-কালেক্টর এবং সার্কেল অফিসার গৌরীগঞ্জ এবং এসিএমওর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই এলাকার মহিলাদের মধ্যে কালো ছত্রাক বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রভাব দেখা গিয়েছে। এর চিকিৎসা শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজেই মিলছে। আর সেখানেই যদি এধরণের কাণ্ড হয়, তাহলে খুবই উদ্বেগজনক৷ জেলাশাসক জানিয়েছেন যে, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অমেঠিরর পুলিশ সুপার দীনেশ সিং বলেছেন, মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার শেষে মহিলার জবানবন্দি নেওয়া হবে৷ মেডিক্যালল রিপোর্ট এবং বিবৃতি উচ্চতর প্রশাসনের কাছে পাঠানো করা হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Rape, Smriti Irani