#ভোপালঃ করোনার দ্বিতীয় (Corona virus Second Wave) ঢেউয়ে টালমাটাল দেশ (India) । হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (Covid Positive) সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। সামাজিক দূরত্ব (Social Distance) না মানা, মাস্ক (Mask) ব্যবহারে অনীহা, অসচেনতা, করোনা বিধি না মানা ও করোনাকে অবজ্ঞা করা কোনও কারণকেই পাশে সরানো যাচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry) থেকে বারবার মাস্ক পরার প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। গাড়িতে একা চলার সময়েও মাস্ক ব্যবহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে না। একইভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মানার মতো বিষয়গুলি নিয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই।
মাস্ক না পরার জন্য একাধিক সময়ে ফাইন করা থেকে শাস্তি দেওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলমক করা হয়েছে। আর তা মানায় এক ব্যক্তির সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা ভয়াবহ বললেও কম বলা হয়। মাস্ক না পরার জন্য প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। যে ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল (Viral Video) হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। তবে অনেকেই পুলিশের (Police) এই পদক্ষেপের প্রবল নিন্দা করেছেন।
The mask of auto driver Krishna Keyer had slipped down his nose when he was on way to meet his ailing father in a hospital. Was beaten mercilessly by cops in Madhya Pradesh. No action was taken initially. After video went viral, they were suspended - NDTVhttps://t.co/i5EvDGX0fI
— Mohammed Zubair (@zoo_bear) April 6, 2021
কৃষ্ণা কেয়ার (৩৫) পেশায় অটোচালক। অসুস্থও বাবাকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার সময় নাক থেকে তাঁর মাস্ক নেমে যাওয়ায় দুই পুলিশকর্মী তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। কৃষ্ণার ছেলে তাঁর বাবাকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন, সাহায্য চায়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। মোবাইল হাতে সকলে ফোন করতে ব্যস্ত থাকলেও, কৃষ্ণাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি কেউ।
ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। কামাল প্রজাপত এবং ধর্মেন্দ্র জাঠ নামে দুই পুলিশকর্মীকে চিহ্নিত করে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।