#ধারওয়াদঃ ২০২০ সালে দাঁড়িয়েও চলছে মেয়ে কেনাবেচা। ভাবতে লজ্জা লাগলেও, সত্যি এমন ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে। চাকরি দেওয়ার নাম করে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে এক যুবতীকে, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।অভিযোগকারী যুবতী ধারওয়াদ তালুকের উপ্পিন বেতাগেরির বাসিন্দা। চাকরি দেওয়ার নামে তাঁকে উস্কে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয় ধারওয়াদ তালুকের আমিনাভাবির বাসিন্দা দিলীপ। যুবতী জানিয়েছেন, তিনি দিলীপকে আগে থেকেই চিনতেন। ধারওয়াদ তালুকের একটি দোকানে কাজ করার সময় পরিচয় হয়েছিল দু'জনের।
কীভাবে ঘটল ঘটনা? যুবতী পুলিশকে জানিয়েছেন, কাজের সূত্রে যখন দিলীপের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, তখন তিনি ভাল কোনও কাজের সুযোগ থাকলে, বলার অনুরোধ করেন। যুবতীর কথামতো বেঙ্গালুরুতে একটি ভাল কাজের সন্ধান পায় দিলীপ। সেই কাজের কথা তিনি তাঁকে জানিয়েছিলেন এবং কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া থেকে সবেতেই সব ধরণের সাহায্য সেই সময় করেছিলেন। পরিচিত হওয়ায় কোনও সন্দেহ হয়নি দিলীপের কথায়। কিন্তু কর্মস্থলে পৌঁছতেই সব সমস্যার শুরু।
যুবতীর অভিযোগ, ভাল কাজের কথা বলে তাঁকে গ্রাম থেকে দিলীপ নিয়ে আসার পরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজের জন্য রেখে আসে। কোনও উপায় না পেয়ে সেই সময় সেই বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন তিনি। এর ঠিক একমাস পরে যুবতীর সঙ্গে সেই বাড়িতে দেখা করতে যায় দিলীপ। সেখানে গিয়ে তাঁকে জানায়, ভাল কাজের সন্ধান মিলেছে, এ বারে সেই ভাল কাজ পাবেন তিনি। সব শুনে আশায় ছিলেন তিনি। ব্যগ গুছিয়ে দিলীপের কথামতো তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন ভাল কাজের জন্য।
যুবতী জানিয়েছেন, দিলীপ বেঙ্গালুরুর সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁকে নিয়ে যায় গুজরাত-রাজস্থান সীমান্তবর্তী পাদানপুরে। সেখানে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁকে রাজস্থানের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয় দিলীপ। Times of India-র রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে বুঝতে না পারলেও দিন কয়েকের মধ্যেই যুবতী বুঝতে পারেন তাঁকে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর বহু কষ্ট করে সেই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। প্রথমে তিনি পাদানপুরা থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছন। সেখান থেকে তিনি যে বাড়িতে কাজ করতেন সেই বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় বাড়ি ফেরেন এবং পুলিশের দ্বারস্থ হন। তৎপর হয় পুলিশ। এরপর গুজরাত থেকে গ্রেফতার হয় দিলীপ।