#কোচি: দু'বছর ধরে আর্থিক অনটন কাটিয়ে ওঠার জন্য নিজের প্রেমিকাকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল লিভ-ইন পার্টনার। সেই কিডনি বিক্রির ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে সম্প্রতি পালিয়ে গিয়েছে সেই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার কোচিতে। নির্যাতিতা ৪৩ বছরের সোফিয়ার দাবি, তাঁকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল তাঁর প্রেমিক মহম্মদ রনিশ। তার কথায় ৮ লক্ষ টাকায় নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেছিলেন তিনি। আপাতত তিনি কেরালার ভাঝাক্কালায় একটি হস্টেলে রয়েছেন।
পুলিশের কাছে সোফিয়ার দাবি, 'ও আমাকে বলেছিল যে একটি কিডনি বিক্রি করে যে টাকা আসবে তা দিয়ে আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে। ও আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল।' কিন্তু সোফিয়ার কিডনি কাকে দেওয়া হয়েছে তা এখনও জানেন না তিনি। গত ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল তাঁর কিডনি বিক্রি করেছিলেন সোফিয়া। তিনি জানিয়েছেন, গ্রহীতার পরিবারের সঙ্গে মহম্মদের কথা হয়েছিল। সেই টাকা মহম্মদের অ্যাকাউন্টেই ট্রান্সফার করেছিলেন গ্রহীতার পরিবার।
সোফিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, এতদিন পর গত ৬ জুলাই সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে মহম্মদ। এখনও তার কোনও খোঁজ পাননি তিনি। সোফিয়া নিজে যেহেতু ক্লাস ৪ অবধি পড়াশোনা করেছিলেন, তাই কাগজে কী লেখা রয়েছে তা পড়তে পারেননি তিনি। সেই সুযোগেই তাঁকে জোর করে কিডনি বিক্রি করানো হয় এবং সেই টাকা নিয়েই পালিয়ে গিয়েছে মহম্মদ রনিশ। সোফিয়া জানিয়েছেন, কিডনি বিক্রি করার সমস্ত কাগজপত্র মহম্মদই তৈরি করেছিলেন।
গ্রহীতার জন্য পাঠানো কাগজে লেখা রয়েছে, 'আমার তুতো ভাইয়ের নির্মাণ কোম্পানিতে পাঁচ বছর ধরে সোফিয়া কাজ করছেন। আমরা ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছি এবং আমাদের পরিবারও খুবই কাছাকাছি এসেছে। আমার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে পেরে সোফিয়া নিজে থেকেই আমাকে কিডনি দিতে চেয়েছেন।' এই ঘটনার পর সোফিয়া আপাতত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোফিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।