#কলকাতা : ভিডিও কলে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে জানিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা আগেও ঘটেছে আবার এরকম ঘটনাও ঘটেছে যেখানে ফেসবুক করে লাইভ করে আত্মহত্যা করেছে কোনও ব্যক্তি৷ এবার ঘটল স্ত্রীকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা৷ খোদ কলকাতার বুকে৷ বড়তলা থানার উল্টোডাঙা রোডের বাসিন্দা চন্দন সিংয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ৷
ছট পুজো উপলক্ষ্যে বিহারে দেশের বাড়িতে গিয়েছিল চন্দন সিংয়ের পরিবার৷ শনিবার সন্ধ্যাবেলায় স্ত্রীকে একটি ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছিলেন চন্দন সিং সেখানে তিনি বলেছিলেন তিনি এবার আত্মহত্যা করছেন৷ এই ভিডিও বার্তা পেয়ে চমকে যান তাঁর স্ত্রী৷ তিনি এরপর প্রতিবেশীদের ফোন করে চন্দনকে দেখতে বলেন৷ ছটপুজো উপলক্ষ্যে সকলে দেশে চলে যাওয়ায় কলকাতার বাড়িতে একাই ছিলেন চন্দন৷ প্রতিবেশীরা গিয়ে বাড়িতে ডাকাডাকি করে চন্দনের কোনও সাড়া পাননি৷ এরপর তাঁরা দরজা খোলানোর ব্যবস্থা করলেই দেখতে পান হাড়হিম করা দৃশ্য৷ গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে চন্দনের নিথর দেহ৷ পাড়া প্রতিবেশীরাই পুলিশকে সব খবর দেন৷ মৃতদেহ আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়৷
কেন আত্মহত্যা করলেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ শনিবার স্ত্রী ববিতাকে বারবার তিনি বাড়িতে ফিরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন৷ এরপরেই তিনি ওই ভিডিওবার্তা পাঠান৷ জানা যাচ্ছে সেই সময় ফোন ববিতার কাছে ছিল না। তাঁর মেয়ের কাছে ফোন ছিল। ববিতা ফোন হাতে পেয়ে ভিডিও দেখেই স্বামীকে কলকাতায় কলব্যাক করেন। কিন্তু সে সময় তিনি আর ফোন ধরেননি । এরপরেই ববিতা নিজের প্রতিবেশীদের ফোন করে বলেন তাঁর স্বামী ঠিক আছে কিনা দেখতে।
তার কথা মতো প্রতিবেশীরা বাড়িতে গেলেই দেখতে পায় চন্দন সিংয়ের নিথর দেহ। মানসিক অবসাদ, পারিবারিক অশান্তি নাকি কোনও অন্য পেশাগত বা ব্যক্তিগত কারণে এই আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ স্ত্রী , বাবা ও তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে উল্টোডাঙায় ভাড়া থাকতেন সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত চন্দন৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।