#লখনউ: লকডাউনে চাকরি খুইয়েছেন অনেকেই, যার জন্য করোনা আবহে আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে বহুজনকে জীবন কাটাতে হয়েছে। কিন্তু অর্থ উপার্জনের জন্য ঘৃন্যতম পথ বেছে নেওয়ার একটি ঘটনায় তাজ্জব হয়েছে সকলেই। উত্তরপ্রদেশের সোনাভদ্র জেলার এক বাসিন্দা 'শিশু পর্ণোগ্রাফি ভিডিও' বিক্রিকেই রোজগারের পথ হিসেবে বেছে নেয়। দিল্লিতে কর্মরত এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টনারশিপ করে ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শিশুদের অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও বিক্রি করছিল। রবিবার, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো ওই দুই অভিযুক্তকে শিশু পর্ণ বিক্রির অভিযোগে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি নজরে আসে যখন নভেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশে বান্দা জেলার এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়রকে প্রায় দশ বছর ধরে ডার্ক ওয়েবে নাবালিকা ও শিশু নির্যাতনের ভিডিও অবৈধ ভাবে বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, সোনাভদ্রের ওই অভিযুক্ত নীরজ পাণ্ডে পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়র। অতিমারির পূর্বে সে দিল্লিতে কাজ করত। কিন্তু লকডাউনের সময় তার চাকরি চলে যায়। এর পরে দ্রুত অর্থ উপার্জনের আশায় দিল্লিতে কর্মরত এক বন্ধু, কুলজিৎ সিং-এর সাহায্য নিয়ে সে ইনস্টাগ্রামের মতন জনপ্রিয় প্যাটফর্মে শিশুদের আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও বিক্রি করতে শুরু করে। ক্রেতাদের কাছ থেকে সে গুগল পে, পেটিএম এবং অন্যান্য ডিজিট্যাল অ্যাপ্লিকেশন গুলির মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করত।