#দ্বারভাঙা: ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে দশ'টা। সবে বাজারের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তারই মধ্যে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘটে গেল দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। বুধবার সকালে ভিড় বাজারের মধ্যে থেকে ১০ কোটির সোনা-হীরের গয়না লুট করে পালাল একদল দুষ্কৃতী। বুধবার দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দ্বারভাঙা বড়বাজারের লাঠ মার্কেটে। এখানেই শেষ নয়, স্থানীয়রা যাতে টুঁ শব্দও না করতে পারে, ২০ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। পুলিশের দাবি, এর আগে এমন সাংঘাতিক ডাকাতির ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটেছে বলে, তাঁরা অন্তত মনে করতে পারছেন না।
এ দিন থানা থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরত্বে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে বলে তোপ দেগেছেন তেজস্বী যাদব। ট্যুইটারে তীব্র ক্ষোভ উগরে তেজস্বী লেখেন, "দ্বারভাঙায় সশস্ত্র অপরাধীরা প্রকাশ্য দিবালোকে বাজারে কয়েক দফা গুলি চালিয়ে ১০ কোটি সোনা-হীরে লুট করে নিয়ে পালিয়েছে। এলাকা থেকে কিছুটা দূরেই এসপি অফিস এবং বিজেপি বিধায়কের বাসভবন। এর উত্তর কে দেবে? ৩০ বছর আগের মুখ্যমন্ত্রী নাকি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী? আশা করব জঙ্গলরাজের মহারাজ এর উত্তর দেবেন!"
महाजंगलराज का महाडरावना नजारा।
दरभंगा में सत्ता संरक्षित हथियारबंद अपराधी दिनदहाड़े भरे बाज़ार में कई राउंड फायरिंग कर 10करोड़ का सोना लूट ले गए।चंद कदम दूर ही SP ऑफिस और BJP MLA का आवास है। जवाब कौन देगा 30साल पहले के CM या वर्तमान CM?काश!महाजंगलराज के महाराजा इसपर कुछ बोलते? pic.twitter.com/WBqGbYLcLE— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) December 9, 2020
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে দশ'টা নাগাদ ৬ জন ডাকাত প্রথমে দোকানে প্রবেশ করে খদ্দের সেজে। তখন তাড়া বাদে দোকানে আর কোনও ক্রেতা উপস্থিত ছিল না। অন্যদিকে, বাকি অন্তত ৬ জন তখন দোকানের বাইরে ঘোরাফেরা করছিল। দোকানের কর্মীরা জানিয়েছে, ডাকাতরা ঢুকে প্রথমেই হীরের নেকলেস দেখতে চায়। তাদের ব্যবহারে কোনওভাবেই সন্দেহ হয়নি কারও। সকলেরই বয়স ৩০-র আশেপাশে। সকলের হিন্দি এবং ভোজপুরী মিশিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সন্তোষ কুমার লাঠ জানিয়েছেন, দোকানের মধ্যে কথা হতে হতেই শূন্যে দু-রাইন্ড গুলি চালায় ডাকাত দল। তারপরেই দোকানের কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ আসে, সব গয়না তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হোক। এতে দোকানের মালিক বাধা দিতে গেলে বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করে ডাকাতরা। এমনকি তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় তারা। দোকানের এক কর্মী জানিয়েছে, 'এমন ঘটনার হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। ডাকাত দলের হাতে বন্দুক থাকায় অ্যালার্ম বাজানোর সাহসও দেখান যায়নি।' কর্মীরা জানিয়েছেন, সকলে গয়না তাদের হাতে দিয়ে দিলে ব্যাগে ভরে গুলি ছুড়তে ছুড়তে মার্কেট ছেড়ে চম্পট দেয় তারা। এরপরেই স্থানীয়রা পুলিসে খবর দিলে এসপি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সম্পূর্ণ CCTV গুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। কর্মীদের-সহ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিস কুকুর এনে তল্লাশি চলছে। ঘটনার দ্রুত তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই SIT (সিট) গঠন করা হয়েছে।