#পিলিভিট: বছর পঁচিশের বিবাহিত এক মহিলার মৃত্যুতে অভিযোগের আঙ্গুল উঠল মেয়েটির মা-বাবার বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট জেলায় এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করেছেন মৃতার স্বামী। তাঁর অভিযোগ, টাকা ও গয়না আত্মস্যাৎ করতেই মেয়েটিকে খুন করেন তাঁর বাবা-মা।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ এ। সওয়স্বতী দেবী নামের বিবাহিত ওই যুবতী সুনগাড়ি থানার অন্তর্গত রূপপুর কপাপা গ্রামে তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। চাঁদুপুর গ্রামের বাসিন্দা মেয়েটির স্বামী সুরেন্দ্র পাল পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী নিজের যাবতীয় গয়না ও নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সুরেন্দ্রর অভিযোগ, সেই সময় সওয়স্বতীকে আটকে রেখে সবকিছু আত্মস্যাৎ করেন তাঁর বাবা-মা। কয়েকজন নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে জোট বেঁধে মা-বাবাই মেয়েটিকে হত্যা করে বলেও অভিযোগ করেছেন মৃতার স্বামী।
তিনি জানান, “দীর্ঘদিন সওয়স্বতী ফিরে না আসায় আমার বাবা রামচন্দ্র তিনজন আত্মীয়-সহ আমার স্ত্রীর পিত্রালয়ে তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তাঁর বাবা-মা হীরা লাল এবং ভগবন্ত দেবী তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে, হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সুরেন্দ্র জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী সওয়স্বতীকে তাঁর বাবা-মা হত্যা করে এবং তার শেষকৃত্যও করে দেওয়া হয়েছে। একথা জানার পরেই অভিযোগ নিয়ে সুনগরী পুলিশের দ্বারস্থ হন সুরেন্দ্র। কিন্তু অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে স্থানীয় থানা। এরপরেই ন্যায়বিচার চেয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হন মৃতার স্বামী, সুরেন্দ্র। অবশেষে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সওয়স্বতির বাবা-মা এবং অন্য দু'জন আত্মীয়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্তর্গত হত্যা, ইচ্ছাকৃত আঘাত ও হুমকির মামলায় অভিযুক্ত করেছে।