হোম /খবর /ক্রাইম /
পাশবিক অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হল পরিচারিকার, অভিযুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা!

সিঙ্গাপুরে পাশবিক অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হল পরিচারিকার, অভিযুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা!

লাথি, ঘুষি, আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়া, খেতে না দেওয়া থেকে শুরু করে একের পর এক নিষ্ঠুর অত্যাচার- বাদ যায়নি কিছুই।

  • Share this:

    #সিঙ্গাপুর: অভাবের জ্বালায় সিঙ্গাপুরে কাজ করতে গিয়েছিলেন মায়ানমারের যুবতী। ঠাঁই পেয়েছিলেন সিঙ্গাপুরবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা গায়ত্রী মুরুগনের বাড়িতে। কিন্তু এক হৃদয়বিদারী ঘটনা রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয়দের। অভিযোগ, বছর চল্লিশের গায়ত্রী দিনের পর দিন ২৪ বছরের ওই কাজের মেয়ের উপরে শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছেন। লাথি, ঘুষি, আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়া, খেতে না দেওয়া থেকে শুরু করে একের পর এক নিষ্ঠুর অত্যাচার- বাদ যায়নি কিছুই। না খেতে পেয়ে এক সময়ে প্রায় ২৪ কেজিতে এসে ঠেকেছিল ওই নিগৃহীতার ওজন। এবং শেষমেশ মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ২৮টি অভিযোগে অভিযুক্ত গায়ত্রী। শ্লীলতাহানি, খুন, শারীরিক অত্যাচার-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে তাঁর নামে। এই নিষ্ঠুর মৃত্যুর পর আশেপাশের সবাই কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। মামলার শুনানি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের মে মাসে মায়ানমার থেকে সিঙ্গাপুর এসেছিলেন পিয়াং গাই ডন (Piang Ngaih Don) নামে ওই মহিলা। বিদেশে এটাই ছিল তাঁর প্রথম কাজ। আসলে সংসারের হাল ধরতে ও বছর তিনেকের ছেলেকে মানুষ করতেই কাজ করতে এসেছিলেন তিনি। পরে তাঁর সঙ্গে এই নৃশংসা ঘটনা ঘটে।

    CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর জানা গিয়েছে, এক মাসের বেশি সময় ধরে লাগাতার অত্যাচার চালানো হয়েছে ওই কাজের মেয়ের উপের। জানালার একটি গ্রিলে শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ডাস্টবিন থেকে খাবার খেতে গিয়েও অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। অটোপসি রিপোর্টের পর শরীরে প্রায় ৩১টি পোড়া-কাটার দাগ ও ৪৭টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। অটোপসি রিপোর্ট অনুযায়ী ও চিকিৎসকদের কথায়, মাথায় এক ধরনের আঘাতের (Hypoxic Ischaemic Encephalopathy) জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘাড়েও স্পষ্ট ছিল আঘাতের চিহ্ন। তাছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে না খেতে পেয়ে শরীরের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

    ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ক্ষুব্ধ সবাই। আদালতে এই মামলা চলাকালীন আইনজীবী মহম্মদ ফয়জল (Mohamed Faizal) জানান, অভিযুক্ত যে অন্যায় করেছেন, তার জন্য যাবজ্জীবন জেল হওয়া উচিৎ। তাঁর কথায়, গায়ত্রী দিনের পর দিন ওই মহিলাকে অভুক্ত রেখেছেন। তাঁকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে অপদস্ত করেছেন। দিনের পর দিন নির্মম ভাবে অত্যাচার করে শেষমেশ মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছেন। এই ঘটনা যে কাউকে নাড়িয়ে দেয়। তাই অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। গায়ত্রী মুরুগনের স্বামীর বিরুদ্ধেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে!

    First published:

    Tags: Singapore