#মালদহ: যেন কালিয়াচক কাণ্ডেরই ছায়া মালদহের চাঁচোলের স্বরূপগঞ্জে। স্ত্রীকে খুন করে বাড়িরই একটি শোওয়ার ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রেখেছিল স্বামী। এর পর গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতেই দিব্যি চলছিল স্বাভাবিক জীবনযাপন। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না অভিযুক্তের।মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ির ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। প্রতিবেশীর স্ত্রী নিখোঁজ থাকায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এর পরে অভিযুক্ত স্বামীকে জেরা শুরু করেন প্রতিবেশীরা। চলে মারধর। খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানার পুলিশকে।
চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত স্বামী। নিজেই জানায়, কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল সে। এর পরেই অভিযুক্ত স্বামী মহম্মদ আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে মালদহের চাঁচল থানার স্বরূপগঞ্জে।
জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের আদি বাসিন্দা মহম্মদ আলি ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা কালো বিবির (৩৮) । বিয়ের পর থেকে স্বরুপগঞ্জে একটি খাস জমিতে ঘর করে বসবাস করতে শুরু করে ওই দম্পতি । তবে, পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবন হলেও কোনও সন্তান হয়নি। অভিযুক্ত স্বামী মহম্মদ আলির এটা চতুর্থ বিয়ে। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের সময় বসতবাড়ি নতুন স্ত্রী কালো বিবির নামে লিখে দিয়েছিল মহম্মদ আলি। কিন্তু, সম্প্রতি তাদের মধ্যে শুরু হয়েছিল দাম্পত্য কলহ। ওই বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা করছিল আগের পক্ষের উত্তরাধিকারীরা। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান কালো বিবি৷
স্বামী মহম্মদ আলি প্রতিবেশীদের জানায়, বাপের বাড়ির আত্মীয়দের কাছে গিয়েছে স্ত্রী। শুধু তাই নয়, চাঁচোল থানায় গিয়ে স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ়ডায়েরিও করে সে। কিন্তু আচমকা বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসায় খুনের বিষয় ফাঁস হয়ে যায়। স্থানীয়দের একাংশের বলছেন, কিছুদিন আগেই মালদহেরই কালিয়াচকে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সামনে এসেছিল। বাবা, মা, ঠাকুমা এবং বোনকে খুনের অভিযোগ ওঠে পরিবারের ছোট ছেলে মহম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে । ওই ঘটনা দেখেই মহম্মদ আলি স্ত্রীকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রাখার পরিকল্পনা করে বলে সন্দেহ প্রতিবেশীদের৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।