#হাপুরঃ অপহরণের (Abduction) পর গণধর্ষণ (Gang Rape), আর তারপর নির্মম খুন (Brutal Murder)। নয়ডার (Noida) হাসপাতালের সামনে রাখা অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) মধ্যে থেকে উদ্ধার কিশোরীর মৃতদেহ। ঘটনাস্থল ফের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে রাজ্য।
২২ মার্চ হাপুরের (Hapur) বাড়ি থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই বছর ১৪-র কিশোরী। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান পায়নি পরিবার। এরপরে স্থানীয় হাপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও কিশোরীর খোঁজ মেলেনি। দীর্ঘ ৯ দিন পরে শুক্রবার, ৩১ মার্চ দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি, এক কিশোরীকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স ফেলে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্মীদেহ সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খুলতেই দেখেন ভিতরে এক কিশোরী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ তড়িঘড়ি কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর দেহ ময়না তদন্তে পাঠান হয়। হাপুর পুলিশের পাশাপাশি নয়ডা পুলিশ পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশকে হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছে, শুক্রবার দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অ্যাম্বুল্যান্সে করে এক কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর তাঁকে বাইরে নামানোর আগেই টাকা তুলতে যাওয়ার অছিলায় এটিএমের দিকে যায়। তবে তারপর তারা আর ফিরে আসেনি। এ দিকে, হাসপাতালের কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশকে খবর দেয়। হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে থেকে উদ্ধায় হয় এক কিশোরীকে। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে বুঝতে পারেন যে কিশোরী নিখোঁজ হয়েছিল, দেহ তাঁরই। খবর দেওয়া হয় কিশোরীর পরিবারে। পরিবারের সদস্যরা এসে দেহ চিহ্নিত করেন।
নয়ডা পুলিশের অ্যাডিশনাল ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রনবিজয় সিং বলেন, "যে দুই ব্যক্তি দেহ ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল সম্ভবত তাঁরাই সম্ভবত কিশোরীকে হাপুর থেকে অপহরণ করে। এরপর গণধর্ষণের পরে প্রমাণ লোপাট করতে খুন করে। দোষীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।" পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বাইরের সমস্ত CCTV ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখান থেকেই দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।