#নয়াদিল্লি: ভাই-বোনের সম্পর্ক (Brother Sister Bonding) যে কত মধুর সেই নিয়ে সিনেমা, গান, গল্পের শেষ নেই। আর সেই সম্পর্কের ফাঁদ পেতেই এক মহিলাকে ঠকিয়ে পালাল এক প্রতারক। চারটে আলাদা ভাগে মোট ৪.০৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর মহিলা বুঝতে পারলেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। আর এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়া (Social media) প্ল্যাটফর্ম ইন্সটাগ্রামে (Instagram)।
মহিলা থাকেন নতুন দিল্লির (New Delhi) পুষ্প বিহারে (Pushp ihar)। পেশায় উনি একজন বিউটিশিয়ান ও মেকআপ আর্টিস্ট। উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকতেন। এ ভাবেই আচমকা তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় লাকি হ্যারি বলে একজনের সঙ্গে। লাকি নিজেকে একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে পরিচয় দেন। ধীরে ধীরে এই মহিলার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে লাকির। লাকি বলেন যে তিনি এই মহিলার ভাইয়ের মতো। এই মহিলাও তাঁকে নিজের ভাইয়ের মতো স্নেহ করতে শুরু করেন।
কিছুদিন পরে লাকি ওই মহিলাকে জানান যে তিনি ওই মহিলার জন্য কিছু উপহার কিনে পাঠাচ্ছেন যার মধ্যে বিদেশি মুদ্রা আছে। এর পরে কেউ একজন কাস্টম অফিসার আর অন্য একজন এক্সাইজ অফিসার সেজে ওই মহিলাকে ফোন করেন। তাঁরা বলেন, লাকি যে উপহার পাঠিয়েছে সেটা ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে গেলে ডিপোজিট ফি হিসেবে কিছু টাকা দিতে হবে।
এর পর কাস্টমসের কর, এক্সাইজ কর, বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের জন্য কর এবং উপহার ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাগে ভাগে টাকা দিতে হয় ওই মহিলাকে। প্রথমে ২৫ হাজার, তার পর সাড়ে ৯১ হাজার, তৃতীয় দফায় ২ লক্ষ ৫০০ টাকা এবং শেষ দফায় ৭৫ হাজার টাকা তিনি দিয়েছিলেন।
এর পর যখন ওই মহিলার কাছ থেকে পঞ্চম দফায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়, তখন তিনি বুঝতে পারেন যে ঠকে গিয়েছেন। তাঁর কাছে আর দেওয়ার মতো টাকা ছিলও না। তিনি সাকেত পুলিশ স্টেশনে (Police Station) এই বিষয়ে জানান।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেগুলো সব ভুয়ো। মহিলা যে টাকা দিয়েছেন, সেগুলো নাগাল্যান্ডের (Nagaland) দিমাপুরের ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এই কেসের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এক নাইজিরিয়ান নাগরিক এবং দিল্লির জনকপুরি থেকে অমরজিৎ যাদব বলে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছে আরও দু'জন।