#নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লির মেহরৌলিতে রেস্তোরাঁ কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত । ওড়িশা থেকে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার বাদল মণ্ডল। সহকর্মী বিপিন যোশীকে খুন করে দেহ ৫ টুকরো করে বাদল। তারপর সেই কাটা অংশ লুকিয়ে রাখে রেস্তোরাঁর ফ্রিজে। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে বাদল। তবে কেন বিপিনকে খুন করল বাদল, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। সেই সংক্রান্ত সমস্ত সন্দেহের নিরাশন করতে বাদলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর প্রাথমিক জেরায় বাদল জানিয়েছে, নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সহকর্মী বিপিনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল ৷ পরকীয়ার কথা জানতে পেরেই এই খুন ৷ বিপিনকে বাড়িতে ডেকে মদ খাইয়ে তারপর খুন করে বাদল ৷ স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বিপিনের সঙ্গে বাদলের আগেও ঝামেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচিতরা ৷
হোটেলের আইকার্ডে নাম বাদল মণ্ডল। কিন্তু রেশন কার্ডে সেই একই ছবির ব্যক্তির নাম স্বপন সিংহ। দিল্লির সাইদুলাজাবে স্বপন সিংহের ফ্ল্যাটে ফ্রিজ থেকে বারটেন্ডারের দেহ উদ্ধারের পর, সেই রেশন কার্ড বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তা থেকেই স্বপনের পুরুলিয়া যোগ সামনে আসে। বলরামপুর থানার হাঁসপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন সিংহ। বাবা-মা ও চার ভাইয়ের গরিব পরিবার। প্রথমে বলরামপুরেই একটি হোটেলে বাসন ধোয়ার কাজ করতেন স্বপন। পরে জামশেদপুরের হোটেলে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে বাড়ির সঙ্গে স্বপনের আর তেমন কোনও যোগাযোগ নেই। ছেলের অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি চান মা-ও।
দিল্লিতে বছর ২৯ বারটেন্ডারের পাঁচ টুকরো দেহ উদ্ধার হল সহকর্মী বাঙালি যুবকের ফ্ল্যাট থেকে। দিল্লির সাকেতে একটি হোটেলে কাজ করতেন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা বিপিন জোশী। ৯ অক্টোবর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। থানায় অভিযোগও দায়ের করে তাঁর পরিবার। বিপিনের সহকর্মী পুরুলিয়ার বাসিন্দা বাদল মণ্ডল। দিল্লির সাইদুলাজাবে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে তাঁরা।
শনিবার বাদলের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায় ঘরের সর্বত্র ছড়িয়ে চাপ চাপ রক্ত ৷ মেঝেতে পড়ে রক্তমাখা ছুরি ৷ বাদলের ফ্ল্যাটের ফ্রিজ খুলতেই চমকে ওঠেন পুলিশকর্মীরা। ফ্রিজের ভিতরে প্লাস্টিকে মোড়া ৫ টুকরো দেহ ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।