#চণ্ডিগড়: নাইট কার্ফুর নিয়মকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিলেন একদল যুবক-যুবতী। বাইকে টহল দেওয়ার সময় তা চোখে পড়ে যায় কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মীর। বাইক থেকে নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেশ কয়েকজন মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। ধারাল অস্ত্র দিয়ে শুরু হয় এলোপাথাড়ি কোপানো। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দু'জনই । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। মঙ্গলবার ভোররাতে নৃশংস ঘটনাটি ঘটে হরিয়ানার সোনিপথের ভুতানা এলাকায়।
মঙ্গলবার সকালে ভুতানা এলাকার গোহানা-জিন্দ রোড সংলগ্ন এলাকা থেকে স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার কাপ্তান সিং এবং কনস্টেবল রবীন্দ্র-র দেহ উদ্ধার হয়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলেই শুরু হয় তল্লাশি । ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তেরা গাড়ি করে সোমবার বিকেলে জিন্দ থেকে রওনা দেন । মঙ্গলবার ভোররাতে ভুতানা এলাকায় গাড়ি পার্ক করে মদ্যপান করছিল তাঁরা। সেই সময় পুলিশ তাঁদের দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ঘটনাটি ঘটে ।
এরপরই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগৃহীত হয় । সংশ্লিষ্ট গাড়ির নম্বর মেলে । তারপর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যেই জিন্দ এলাকা থেকে অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশি অভিযানের সময় 'এনকাউন্টার'-এ মূল অভিযুক্ত অমিতের মৃত্যু হয়। পালিয়ে যায় বিকাশ নামে আরও এক অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় দুই-যুবতী-সহ ছ'জন উপস্থিত ছিল। এলাকা থেকে সোডা এবং জলের বোতল উদ্ধার হয়।
সোনিপথের পুলিশ সুপার জশনদীপ রান্ধওয়া জানিয়েছেন, পুলিশি অভিযানের সময় পাল্টা হামলা চালায় অভিযুক্তেরাও। সেই সময় গুরুতর জখম হন দুই ইনস্পেক্টর-সহ চার পুলিশকর্মী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত অমিতের বিরুদ্ধে ৬-৭টি ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে ৮ জনের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলই ঘটা ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে।