#জয়পুর: লাগাতার বিতর্ক জারি থাকে রাজস্থানের হনুমানগড় জেলে! জেলের মধ্যেই বন্দিরা দেদারে আফিম ও ড্রাগ বিক্রি করেন! না, ভুল পড়ছেন না, এটাই সত্যি৷ সম্প্রতি এই জেলের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল৷ একইসঙ্গে কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল তো হয়েছিলই, পাশাপাশি কিছু ছবিও ভাইরাল হয়৷ সেই ছবিগুলিতে বন্দিরা মদ্যপান করছে সঙ্গে মাংস খাচ্ছে, একেবারে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে৷ ভাইরাল ভিডিওতে বন্দি ১০ হাজার টাকা গুনছে এরকম দৃশ্যও যাচ্ছে৷ আর জেলের এক কর্মচারী যিনি সতবীর নামে পরিচিত সে ওই টাকা দেওয়ার কথা বলছে৷
এখানেই চমকের শেষ নয়, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আরও এক বন্দি বলেছে , ‘আজ মদের বোতল আসেনি৷ ’ আর এক বন্দি এর উত্তরে বলছে, 'ফোনে এবার এই নিয়ে কথা বলতে হবে৷' ভিডিওতে এক বন্দিকে ফোনে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে৷
জেলে স্ন্যাকস ও আফিম একটা ওজন যন্ত্রে মাপ করার সময় এক বন্দি বলছে ,‘আজ পুরো মাল আসেনি৷ ’ জেলের প্রধান এই ভিডিও-র সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ জেলের মধ্যে মদ-মাংস-নেশার বস্তুর এরকম দেদার ব্যবহার হয়েছে মেনে নিয়েছেন জেলের প্রধান৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, ভিডিওগুলি পুরনো এবং তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার আগের সময়ের৷
তিনি দাবি করেছেন, তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার আগে জেলে এই ধরনের ঘটনা রোজই ঘটত৷ কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ধরনের সব কাজই বন্ধ করে দিয়েছেন৷
তবে এইধরণের ছবি -ভিডিও সামনে আসার পর কারাগারের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে৷ জেলের প্রধান জেলের কোনও কর্মচারী এর মধ্যে জড়িত থাকার প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছেন৷ কারাগারের দেওয়ালের ওপর দিয়ে নেশার জিনিস ও মোবাইল ছুড়ে দেওয়া হত৷ এক মাসে এইধরনের তিনটি ঘটনা সামনে এসেছে৷ জেলে এর আগেও একাধিকবার মোবাইল পাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে৷ জেল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জেলের কোনও কর্মীর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও এখন বড় প্রশ্ন জেলের ভিতরে কীভাবে মদ ও চিকেন পৌঁছল৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Crime, Jail, Viral Video