#চিতোর: দুই সন্তানকে নিজের হাতে বলি দিল মা। তাকে সঙ্গ দিল ওই দুই সন্তানেরই বাবা। এমনই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রের চিতোরে। তবে এখানেই ঘটনার শেষ নয়, বরং শুরু।
গ্রেফতারির পর বাধ্যতামূলক ভাবে পদ্মজা (৫০) নামক ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওযা হলে তিনি করোনা পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন। বলতে থাকেন তিনি স্বয়ং শিব, তিনিই করোনার জন্ম দিয়েছেন। তাঁর ব্যবহারে রীতিমতো ঘাবড়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। তিনি আরও বলেন, আমার গলায় হলাহল রয়েছে। আমার করোনা পরীক্ষার দরকার নেই। অনেক বুঝিয়সুঝিয়ে তাঁকে শেষমেশ করোনা পরীক্ষায় রাজি করানো হয়। যদিও পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি।
গত ২৪ জানুয়ারি রাতে চিতোরের মদনপল্লির বাসিন্দা পদ্মজা এবং পুরুষোত্তম তাদের দুই সন্তানকে ডাম্বেলের আঘাত করে হত্যা করে। তাঁদের দুই মেয়ে আলেখ্য এবং সাই দিব্যার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর ও ২২ বছর। এলাকাবাসী পুলিশকে জানায় লকডাউনে এই দম্পতি বেশ কয়েক বার অসংলগ্ন আচরণ করছিল। পুলিশ গ্রেফতার করলে তাঁরা বলতে থাকে, কলিযুগের শেষ এবং সত্যযুগের শুরু হবে এর পরেই। তারা আরও দাবি করে তাদের সন্তানরা শীঘ্রই জীবিত হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য পদ্মজা একটি আইআইটি কোচিং ইন্সটিটিউটে অঙ্ক শেখাতেন। আর পুরুষোত্তম একটি সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল পদে আসীন। তারা দুজনেই সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল এবং বিশ্বাস করত এই পদ্ধতিতে তাদের সন্তানদের পুনর্জনম্ম হবে।